আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনা নতুন চক্রে ৩৭টি টেস্ট, ৬৮টি ওয়ানডে ও ৬৩ টি-টোয়েন্টি পেয়েছে বাংলাদেশের ছেলের ক্রিকেট দল। ২০০৩ সালের পর এই চক্রে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সফর আছে ভারতেও।
বুধবার ২০২৩-২০২৭ চক্রে নতুন সফরসূচি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে আইসিসি। এই সময়ে ১২টি টেস্ট মর্যাদা সম্পন্ন দেশ খেলবে ৭৭৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যাতে আছে ১৭৩ টেস্ট, ২৮১ ওয়ানডে ও ৩২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। গত চক্রে ম্যাচ ছিল ৬৯৪টি।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর আর দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে সেদেশে ডাক পড়েনি সাকিব আল হাসানদের। লম্বা সময় পর ২০২৭ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজটি হবে মার্চ মাসে। ওই মৌসুমে সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট হয় না।
২০২৪ সালে দুই টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ দল। ভারতের বিপক্ষে চলতি বছরে ঘরের মাঠে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবেন সাকিবরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ডিসেম্বর মাসে ২ টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশে আসবে রোহিত শর্মারা।
নতুন চক্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তাদের সঙ্গে ৩ টেস্টের পাশাপাশি আছে ১২ ওয়ানোডে, ১৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আছে ৪টি টেস্ট। ৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
এই সময়ে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ৪টি করে টেস্ট এবং ৬টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি আছে বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই প্রথম দ্বি-পাক্ষিক কোন কুড়ি ওভারের সিরিজ খেলবে টাইগাররা। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টের সঙ্গে আছে ৯ ওয়ানডে ও ৬ টি-টোয়েন্টি।
ঘরে-বাইরে মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আছে ৪ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে। তাদের বিপক্ষে নেই কোন টি-টোয়েন্টি।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ খেলবে ৫ টেস্ট, ১৮ ওয়ানডে ও ১৬ টি-টোয়েন্টি। ২০২৪ সালে আছে ১৪ টেস্ট, ৯ ওয়ানডে ও ১৭ টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালে ৪ টেস্টের সঙ্গে ১৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। ২০২৭ সালে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ অস্ট্রেলিয়ায়। ইংল্যান্ড একই বছর বাংলাদেশে খেলতে আসবে দুই টেস্টের সিরিজ।