রাশিয়ার খাদ্য বাজারে আনার জন্য জাতিসংঘ কাজ করছে। একই সঙ্গে দেশটিতে উৎপাদিত খাদ্যশস্য ও সারের অবাধ রফতানি দেখতে চায় সংস্থাটি।
শনিবার (২০ অগাস্ট) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান স্পষ্ট।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলের ওই সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে রাশিয়া সম্মত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। গত মাসে তুরস্কে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত। চুক্তির অধীনে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন শস্য এবং অন্যান্য খাদ্য রফতানি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত মাসের ওই চুক্তিতে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যের পাশাপাশি রাশিয়ায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য এবং সারও বিশ্ববাজারে আনার কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বেসরকারি খাতের সহযোগিতা করা উচিত।
তিনি বলেন, এ চুক্তির অপর অংশটি বিশ্ববাজারে রুশ খাদ্যশস্য ও সারের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। এটি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়। এগুলো বাজারে আনতে সব দেশের সরকার এবং বেসরকারি খাতের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
পণ্যের বাজারকে আরও শান্ত রাখতে আহ্বান জানান গুতেরেস। ভোক্তাদের জন্য অপেক্ষাকৃত কম দাম নিশ্চিত করতে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আরও বেশি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ আগ্রাসনের ঘটনায় প্রথমবারের মতো ইউক্রেনীয় শস্য রফতানি আটকে যায়। এ অচলাবস্থা কাটতে গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় মস্কোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে কিয়েভ। আঙ্কারা জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় ইতোমধ্যেই ২৭টি জাহাজ ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর উপকূলীয় বন্দর ছেড়ে গেছে।