1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

টিকা নিলে আগামী বছর স্বাভাবিক জীবনযাপন

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি কোভিড-১৯ টিকা নিলে আগামী বছরের শুরুতে হয়তো স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যাবে বলে মনে করেন গবেষণায় ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত অণুজীব বিজ্ঞানী ডা. সমীর কুমার সাহা।

এর আগে ২০১৭ সালে ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজির গবেষণার জন্য আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (এএসএম) পুরস্কার, ২০১৭ সালে ইউনেসকো কার্লোস জে মাইক্রোবায়োলজিতে ফিনলে পুরস্কার পেয়েছিলেন। একুশে পদকে ভূষিত এ বিজ্ঞানী তার অনুভূতি, ভবিষ্যৎ চিন্তা, কোভিড ভ্যাকসিন ও বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল আমাদের সময়কে তার মতামত তুলে ধরেন।

বিজ্ঞানী সমীর কুমার সাহা টেলিফোনে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ভালো। পদকপ্রাপ্তি তো অনেক বড় কিছু; তার পর দেশেরটা তো পাওয়া অন্য একটা মাত্রা। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সবাই জেনেছে। ভবিষ্যতে গবেষণা করে অজানা জীবাণু জানা ও তা প্রতিরোধে কাজ করবেন বলে জানান।
গত বছরের ১২ মে প্রথমবারের মতো দেশে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং (জিন নকশা বের করা) করে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) নির্বাহী পরিচালক ডা. সমীর কুমার সাহা ও তার মেয়ে ডা. সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি গবেষক দল।

কোভিড-১৯ টিকা প্রসঙ্গে ডা. সমীর বলেন, যখনই সুযোগ পাব আমি টিকা নেব। টিকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এত অল্প সময়ে টিকা আবিষ্কার হয়েছে, তা ভালো কাজ হয়েছে। আমরা মনে করি টিকাটা যখন দেবে, তখন আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব। অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, ঘনঘন হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্ক পরা ইত্যাদি কাজ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আমরা টিকাও নেব। তা হলে টিকার মূল্যটা বোঝা যাবে। উন্নত বিশ্বে লকডাউন করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

নেদারল্যান্ডসের প্রসঙ্গ টেনে এ গবেষক বলেন, সেখানে আমি আজ (গতকাল) কথা বলেছি। তাদের লকডাউন চলছে, টিকাও দেওয়া হচ্ছে; যেন ভাইরাসগুলো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আপনি একদিকে করোনা ছড়াবেন অন্যদিকে টিকা দেবেন, তা হলে দেরি হবে না? হবে। আমরা যদি নিজেরা মাস্ক ব্যবহার করি, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করি, হাত ধুই এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি- পাশাপাশি যদি দেশে যে টিকা এসেছে তা গ্রহণ করি তা হলে অন্যরাও টিকা নিতে উৎসাহ পাবে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে টেনে ডা. সমীর সাহা বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সারা পৃথিবীতেই কমছে। সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তা হলে হয়তো চলতি বছরের শেষের অর্ধেকটা যখন যাবে এখন কমছে তখন দ্রুত গতিতে কমতে থাকবে। আমি আশা করি সবাই মিলে এ চেষ্টা করবে। এতে আমরা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারব- এ ক্ষেত্রে খুবই আশাবাদী। এ বছরের শেষ দিকটা হয়তো একটু কষ্টে যাবে, তবে আগামী বছর সবাই মিলে চেষ্টা করলে আগে যেভাবে চলতাম অর্থাৎ স্বাভাবিক জীবনের কাছাকাছি চলে যাব।

একুশে পদকে ভূষিত গবেষক ডা. সমীর তার ভবিষ্যৎ চিন্তার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ চিন্তা হচ্ছে- গবেষণা আরও বিস্তৃত করা, ডেডিকেটেড করা। যারা থাকবে তারা এ গবেষণা নিয়েই থাকবে। আমরা যদি ভালো কাজ করি সরকারও দেখবে। সরকারও চিন্তা করবে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়। সব সময় যে অর্থ দিয়েই সহযোগিতা করতে হবে তা নয়; কাজ করার সুযোগ দেওয়াও অনেক কিছু।

তিনি আরও বলেন, আজকাল অনেক কিছুই হচ্ছে; আমরা আশাবাদী। কৃষিবিদরা যদি এত ভালো গবেষণা করতে পারে আমরা কেন স্বাস্থ্য খাতে পারব না- এগুলো একটা চিন্তা। আমাদের অর্থ। আমরা ধনী দেশ না। কিন্তু আমরা দরিদ্রও না। আমাদের যতটুকু আছে ততটুকু যদি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি তা হলে অবশ্যই অনেক কিছু গবেষণা করে সামনের দিকে এগোনোর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অন্তত প্রমাণ করতে পেরেছি অল্প অর্থে অনেক কিছু করা যায়। আমাদের দেশের জন্য অনেক কঠিন কিছু করার দরকার নেই। দেশের জন্য সাধারণ কিছু করলে দেশে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে পারি। আশা করি, হবে- এ রকম একটা জায়গা করতে চাই আস্তে আস্তে। গবেষণাও হবে মানুষও টের পাবে গবেষণাটা দিয়ে আমাদের কিছু একটা হচ্ছে।

ডা. সমীর বলেন, যদি গবেষণা করি; কিন্তু মানুষ বুঝবেই না তা হলে দেশে ইমপ্যাক্ট হবে না। আমাদের যেটি কাজে লাগবে, একদমই দৃশ্যমান। যেমন পদ্মা সেতু এখনো চালু হয়নি; কিন্তু দৃশমান- এটি দেখে তো আনন্দ পাচ্ছি। সেভাবে আমাদের গবেষণা মানুষের সামনে তুলে ধরব। আমি আশা করি আমাদের সরকারও সেটি দেখে আমাদের সহযোগিতা করবে। আমি দেখতে চাই, অনেক কিছু করেছি। ভ্যাকসিন এসেছে শিশুমৃত্যুর হার কমাতে পেরেছি। টাইফয়েডেরটা আনলে সেটি প্রতিরোধ করতে পারব। নিউমোনিয়া আছে, যেগুলোর জীবাণু চিনি না। এর বাইরেও অনেক জীবাণু আছে, যা আমরা চিনি না। এগুলোর জন্য আমাদের যে টেকনোলজি রয়েছে সিকোয়েন্সিং; নির্দিষ্ট কোনো জীবাণুর সিকোয়েন্সিং না। সিকোয়েন্সিং হলো কোনো অপরিচিত বা অজানা জীবাণুগুলোকে খুঁজে বের করার মেথড।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি