টি-টোয়েন্টির এ যুগে ১৪৮ রানের লক্ষ্য খুব কঠিন কিছু না। কিন্তু ম্যাচটি ভারত-পাকিস্তান বলেই এই রানটা অনেক কিছু। ম্যাচেও তাঁর প্রমাণ মিলেছে। জয়ের পাল্লা সময় অন্তর অন্তর দুই দলের দিকেই ঝুলে পড়েছিল। তবে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে দেন ম্যাচ সেরা হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন কঠিন মুহূর্তে তাঁর ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের জয়ের পথ কঠিন করে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। বিশেষ করে অভিষিক্ত নাসিম শাহ। তাঁর দুর্দান্ত বোলিং ও অনন্যা বোলারদের কিপটে বোলিংয়ে ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ৬ বলে ৭ রান। প্রথম বলে রবীন্দ্র জাদেজাকে আউট করে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ ম্যাচের উত্তেজনা দেন বাড়িয়ে। নতুন ব্যাটার দীনেশ কার্তিক দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পরিবর্তন করেন পান্ডিয়ার সঙ্গে। তৃতীয় বল ডট দেন নওয়াজ। তখন ম্যাচের সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৬ রানের। তবে চতুর্থ বলে সব হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে দেন পান্ডিয়া। নওয়াজের করা বলটিকে লং অন দিয়ে বিশাল ছক্কা মেরে ভারতকে ম্যাচ জেতান তিনি।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে পান্ডিয়া অপরাজিত ১৭ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ভারতকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন সে সময়কার পরিকল্পনার কথা।
এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘পরিস্থিতি বুঝে অস্ত্র ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বল করার সময় যেমন সঠিক জায়গায় বল করা জরুরি তেমনি ব্যাট করার সময় সুযোগ কাজে লাগাতে হয়। ঠিকমতো অস্ত্রের প্রয়োগ করতে হয়। এই পরিস্থিতেতে ওভার ধরে ধরে পরিকল্পনা করতে হয়। জানতাম তাদের একজন তরুণ বোলারের সঙ্গে একজন বাঁ-হাতি স্পিনার আছে। আর শেষ ওভারে আমাদের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। তবে এ সময় ১৫ রান দরকার পড়লেও আমি সুযোগ নিতাম। ২০ তম ওভারে আমাকে বল করার সময় ওদের বোলারের ওপরে বেশি চাপ ছিল। আমি চেষ্টা করেছি বিষয়গুলোকে সহজ রাখার। এটা আমার অহংকার নয়। শুধু আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছি।’