ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।এদিন সম্রাটের জামিন বাতিলে দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে এ রুল জারি করা হয়। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২৯ আগস্ট সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে, গত ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত দুই শর্তে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। শর্ত দুটি হলো সম্রাটকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।এরপর অসুস্থতাজনিত কারণে কয়েক দিন চিকিৎসাধীন থকার পর ২৬ আগস্ট দুপুরে হাসপাতাল ছাড়েন সম্রাট।
২০১৯ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিন মামলায় এবং মে মাসে দুদকের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। তবে দুদকের এক মামলায় হাইকোর্টে জামিন স্থগিত হওয়ার পর ফের আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হয় সম্রাটকে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।