দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের দণ্ডিত ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পর মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে, ২৯ জুন তার মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তবে ওইদিন তাকে জামিন দেননি আদালত।
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩শ কোটি টাকা জরিমানা। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেসঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২শ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।