প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু করা হতো, তবে এবারই প্রথম সকাল ১১টায় এসএসসি পরীক্ষা শুরু করা হচ্ছে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যানজটের কারণে ১০টার পরীক্ষা ১১টায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর সময়টা সকাল ১০টার পরিবর্তে ১১টা করা হয়েছে। সকালে যানজটের কারণে অনেকেই বলেছেন সমস্যা হয়। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ১০টার পরিবর্তে ১১টায় নিয়েছি।
পরীক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেবে। সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে।
এবার মোট কেন্দ্র সংখ্যা ৩ হাজার ৭৯০টি। এরমধ্যে বিদেশের কেন্দ্র সংখ্যা ৮টি।
২০২১ সালের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থী কমেছ ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি।
পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী থাকে। গতবছর আমরা মাত্র তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়েছিলাম সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সে কারণে পাসের হারও বেশি ছিল। এ কারণে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।
বৈশ্বিক মহামারির কারণে পরীক্ষার বিষয়, নম্বর ও সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে। এরমধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
এসএসসিতে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃতি, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা হবে। এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কোনো কারণে দেরি হলে তার প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
অন্যদিকে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান ছাড়াও মন্ত্রণালয় এবং বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।