করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন ডলার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে এটির দাম বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে কমছে অন্যান্য মুদ্রার মূল্য।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রিটিশ মুদ্রার দাম কমে ১৯৮৫ সালের পর সর্বনিম্ন হয়।
জানা গেছে, ব্রিটিশ পাউন্ড ডলারের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে ১ দশমিক ১৪৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ১ দশমিক ১৪৫ ডলারে এখন এক পাউন্ড পাওয়া যায়। গত ৩৭ বছরের মধ্য পাউন্ডের এমন পতন দেখা যায়নি।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দুর্বল পরিসংখ্যানের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ফলে স্টারলিংয়ের ওপর চাপ বাড়ছে।
গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলিও সতর্ক বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলমান থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। ফলে মন্দার হাত থেকে যুক্তরাজ্যকে রক্ষার জন্য খুব কমই করার আছে।
ব্যাংক আশা করে যে ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে অর্থনীতি সংকুচিত হবে, যা ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এর আগে অন্তঃবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে রানির কাছে পদত্যাগের কথা জানান বরিস জনসন।