এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বুধবার রাতে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। ম্যাচটিতে পাকিস্তানের সামনে ১৩০ রানের ছোট লক্ষ্য ছুড়ে দেয় আফগানিস্তান। আফগান বোলারদের সামলে সেই রান তাড়া করতে হিমশিম খেতে হয় পাকিস্তানের ব্যাটারদের।
শুরু থেকেই বাবর-ফখরদের চাপে রাখেন আফগান বোলাররা। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানের ভরসা হয়ে উঠেন আসিফ আলী। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। আফগান পেসারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে হারিস রউফকে স্ট্রাইক দেন আসিফ। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড হয়ে শূন্য হাতে ফিরেন হারিস রউফ। এতে আরও চাপে পড়ে পাকিস্তান।
তৃতীয় বলে নাসিম শাহ সিঙ্গেল নিয়ে আবারও স্ট্রাইক দেন আসিফকে। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন আসিফ। তবে ফরিদ আহমেদের পরের বলেই শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ১৬ রান করা আসিফকে।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ছক্কা হজমের পর উইকেট নিয়ে আসিফের একেবারে সামনে গিয়ে ফিস্ট বাম্প করলেন আফগান পেসার। আউট হওয়ার পর প্রতিপক্ষ বোলারের এই উদযাপন যেন আসিফের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিল। এ সময় ধাক্কা দিয়ে ফরিদকে সরিয়ে দেন আসিফ।
এতে আফগান পেসারও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখান। আসিফের যেন রাগ আরও বেড়ে যায়, ব্যাট উঁচিয়ে মারতে চাইলেন ফরিদকে। আরও কয়েক সেকেন্ড উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতেই আফগান খেলোয়াড়রা এসে দুজনকে আলাদা করেন। পেছনে ফিরে আবারও আসিফ কিছু একটা বলেন, এর পর ধরেন ড্রেসিংরুমের পথ।
এ ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সমর্থকরা। পিছিয়ে নেই দুই দেশের সাবেক ক্রিকটার ও বোর্ডকর্তারা। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী শফিক স্ট্যানিকজাই দাবি তুলছেন— এশিয়া কাপের বাকি সময় আসিফকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক।
আসিফ-ফরিদের ওই মুহূর্তের ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে স্ট্যানিকজাই লিখেছেন, ‘এটা আসিফ আলীর চরম পর্যায়ের বোকামি এবং তাকে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ থেকে নিষিদ্ধ করা হোক। যে কোনো বোলারের উদযাপন করার অধিকার আছে কিন্তু তাই বলে শারীরিক আগ্রাসন মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’
আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নায়েবও একই দাবি তুলেন। টুইটারে একটি ছবি দিয়ে স্ট্যানিকজাইয়ের পোস্টটি শেয়ার করেন তিনি।
আসিফ মাঠ ছাড়লেও ১৯ বছর বয়সি পাক পেসার নাসিম শাহের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা।