আগামী সোমবার ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায়নি যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকারের কার্যালয় হোয়াইট হলের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য ও এর পশ্চিমা মিত্ররা বিশ্বমঞ্চে রাশিয়া ও তার মিত্র বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে। এ জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যুক্তরাজ্য ও এর মিত্ররা।
এদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া নির্বাচিত সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
বিবিসি জানায়, সোমবার লন্ডনে রানির শেষকৃত্যে ৫০০ জনের বেশি বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এরই মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন সব দেশের নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে রানির শেষকৃত্য ঘিরে দেশটিতে অন্যতম বৃহৎ কূটনৈতিক জমায়েত হতে যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
গত সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের এক মুখপাত্র বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয়ভাবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করবে যুক্তরাজ্য। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রানির মরদেহ আকাশপথে লন্ডনের বাকিংহামে প্যালেসে আনা হয়। সেখান থেকে রানির কফিনটি ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা হবে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে চার দিন রানির মরদেহ সেখানে রাখা হবে। এ সময় সর্বসাধারণ রানির কফিন দেখার সুযোগ পাবে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।