যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার হলে নেওয়ার সময় সমবেত হয় হাজারো মানুষ। শোকযাত্রায় ছিলেন রানির নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রানির পুত্র অর্থাৎ নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, রানির কফিনটি দেখার জন্য বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) টেমস নদীর দক্ষিণ তীর বরাবর দুই মাইলেরও বেশি লম্বা লাইন হয়। আগামী কয়েক দিন লাখো মানুষের জমায়েত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানির রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চার দিন রানির কফিনটি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে থাকবে। সেখানেও সাধারণ মানুষের ভিড় বেশি হওয়ায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে রানির মরদেহ সামরিক উড়োজাহাজে করে রাজধানী লন্ডনে আনা হয়। লন্ডনের নর্থহল্ট বিমানঘাঁটিতে মরদেহ গ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। এ সময় রানির কফিনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে প্রিন্সেস অ্যান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রানির কফিনবাহী গাড়িবহর বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছায়। রানির সরকারি আবাসস্থল ও দপ্তর বাকিংহাম প্যালেসে রানির মরদেহ গ্রহণ করেন প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি।
১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কয়েক লাখ মানুষ সমবেত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রানির কফিন ওয়েস্টমিনস্টারে নেওয়ার সময় তাঁর পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা সঙ্গে থাকবেন। এই সময় রানির সম্মানার্থে সারা দেশে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হবে। এর পর সেখান থেকে রানির কফিন উইন্ডসর ক্যাসলে নেওয়া হবে, যেখানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ৫০০ জনের বেশি বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্ব নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন।