চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের মূল কমিটিতে পদবঞ্চিতরা। এছাড়া সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের শাটল ষোলশহরে আঁটকে দেয়। এসময় শহরের ষোলশহরে শাটলে থাকা শিক্ষার্থীরা এবং প্রথম বর্ষে ভর্তির উদ্দেশ্যে আশা ভর্তিচ্ছুরা বিপাকে পড়ে। এদিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি কোনো শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাস।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১ম তালিকায় বিষয় প্রাপ্তদের ভাইভা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা এবং ক্লাসের উদ্দেশ্যে আশা শিক্ষার্থীরাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
বগুড়া থেকে ভর্তি হতে আশা এক ভর্তিচ্ছু জানান, আমি শাটলে আসছিলাম কিন্তু শাটল আটকে পড়ায় বাসে আসতে হয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলাম অনেক দিন ধরে। আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য না করতে অনুরোধ করেছি। কোনো লাভ হয়নি। পদবঞ্চিতদের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের এ দায়ভার শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।
এদিকে, ক্যাম্পাসে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই প্রায় ৬ বছর পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানান ৯৪ জন পদধারী নেতা।