বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে দেওয়া হবে না এটাই আজকের দিনে আওয়ামী লীগের শপথ বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতীয়তাবাদীরা আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় উল্লেখ করে, মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে বিএনপির মনের কথা বেরিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ফখরুল সাহেব বলেছেন পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম। তাদের মনের কথা বেরিয়ে গেছে। এই জাতীয়তাবাদীরা আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে পাকিস্তান বানাতে দেব না। এটাই আমাদের আজকের দিনের শপথ, আমরা এই শপথ করছি। আবার বলে পাকিস্তানের নাম শুনলে আমাদের গাত্রদাহ হয়। হ্যা, ফখরুল সাহেব পাকিস্তানের নাম শুনলে তো আমাদের গাত্রদাহ হবেই। পকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছি। পাকিস্তানের প্রতি আপনার এতো পেয়ার কেন ফখরুল সাহেব। তাহলে তো এটাই প্রমাণ হয় ৭১-এর বদলা নিতে জিয়ারউর রহমান ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন।
বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কুমিল্লায়, মিরপুরে হামলা হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু বরিশাল ও চট্টগ্রামে তো বিএনপি নিজেরা মারামারি করেছে। সেটা কিন্তু মিডিয়া ছাপতে চায় না। তাদের নেগিটিভ নিউজও মিডিয়া ছাপতে চায় না। আমি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বলছি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশের বাইরে কেউ যদি হামলায জড়িয়ে পড়েন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এসব করে সরকারের ওপর এসে দায় পড়বে, এটা কিন্তু আমরা ছাড় দেব না। কোনো খারাপ কাজ আমাদের নেত্রী সহ্য করেন না। কাউকে রেহাই দেননি। কাউকে আমরা লেলিয়ে দেইনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত মহল দেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো পিছু হটতে জানেন না, ভয় পান না। এরা জানে না তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেরে যাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হেরে যাবে। যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকেন বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না।
এ সময় ওবায়দুল কাদের সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যেসব মিডিয়া, গণমাধ্যম বিএনপি নেতাদের কাভারেজ দেয় তারা কী আচরণ করছে? আওয়ামী লীগের কত বড় বড় নেতাদের কী কাভারেজ দেয় বিভিন্ন মিডিয়া, গণমাধ্যম? এখানে তথ্যমন্ত্রী আছেন, কাভারেজের ক্ষেত্রে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা উচিত।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে আলোচনার সভা করা হবে। ওই দিন বিকেল ৩ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।