দেশে শুরু হয়ে গেছে গণহারে টিকা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে সবার সুযোগ নেই টিকার জন্য আবেদনের। কেবল নির্দিষ্ট ১৯টি ক্যাটাগরির মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও বাস্তবতা হলো, ওয়েব পেজে নিবন্ধন আবেদনের ঘরে যাওয়ার পর দেখা যাবে, এখানে সুযোগ রাখা হয়েছে কেবল ১৯ ধরনের ব্যক্তির জন্য কেবল জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করার।
৫৫ বছরের বেশি হলে যে কেউই নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। তবে এর কম বয়স হলে তাকে হতে হবে নির্দিষ্ট কয়েকটি শ্রেণিপেশার অন্তর্ভুক্ত। তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তি, সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক, জাতীয় দলের খেলোয়াড়। এ ছাড়াও রয়েছেন সিটি করপোরেশন-পৌরসভা, জরুরি সেবা, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, নৌবন্দর, জেলা-উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এসব ক্যাটাগরির বাইরে কেউ পারবেন না ওয়েব পেজে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ। সে ক্ষেত্রে চাইলেই কোনো শিক্ষক, বেসরকারি চাকরিজীবী, পরিবহন কর্মী, কৃষক কিংবা শ্রমিক পারবেন না নিবন্ধন করতে, যদি তার বয়স ৫৫ না হয়ে থাকে।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টিকাকেন্দ্রে গিয়েও করা যাবে নিবন্ধন।