ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জয় পাওয়া গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স পর পর দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে সেন্ট লুসিয়া কিংসকে হারিয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিল সাকিব আল হাসানের দলটি।
এদিন বল হাতে সফল ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে শিকার করেছেন দুইটি উইকেট। তবে আগের ম্যাচের মতো আজও গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সাকিব।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ডু প্লেসির সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান করে সেন্ট লুসিয়া। জবাবে শাই হোপেরর তাণ্ডবে ৬ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিবরা। এতে সাত পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে টপকে পাঁচে গায়ানা। ২ ম্যাচ বেশি খেলে চারে থাকা সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনে তারা।
এর আগে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নেন সাকিব। প্রথম বলে সিঙ্গেল দেয়ার পর দুটি ডট বল। চতুর্থ বলে ফাফ ডু প্লেসির ব্যাটে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার হজম করেন তিনি। পরের বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা দেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানকে। প্রথম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার দেন ১১ রান। সপ্তম ওভারে আগেরটির চেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোরিং করেন সাকিব। অবশ্য ডু প্লেসি আরেকটি চার মারেন। ৭ রান দেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে।
নিরোশান ডিকবেলা ও ডু প্লেসি যখন ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন, তখন ইমরান তাহির ব্রেকথ্রু আনেন। ১৩২ রানের জুটি তিনি ভেঙে দেন ডিকবেলাকে (৩৬) ফিরিয়ে। এরপর সাকিব দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নেন। পান সাফল্য। ১৫তম ওভারে অ্যাডাম হোসেকে (১) ফেরান স্টাম্পিংয়ে। তৃতীয় ওভারে ১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
নিজের শেষ ওভারে ৩৫ বছরের এই স্পিনার পান দ্বিতীয় উইকেট। প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা মারেন ডেভিড উইজ। তৃতীয় বলে তাকে এলবিডব্লিউ করে থামান সাকিব। ১৪ রান দিয়ে ওই ওভারে ১ উইকেট নেন।