রাশিয়ার উরাল পার্ব্যত অঞ্চলের প্রদেশ উদমুর্তিয়ার ইজেভস্ক শহরের স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থী, বাকি ৬ জন স্কুলটির শিক্ষক ও স্টাফ। এছাড়া আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা রাশিয়া’স ইনভেস্টিভেটিভ কমিটির (আরআইসি) একাধিক কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম আরটিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার ইজেভস্ক শহরের ৮৮ নম্বর স্কুলে ঘটে হামলা। সশস্ত্র একজন হামলাকারী ওই স্কুলটিতে ঢুকে প্রথমে প্রহরীকে গুলি করেন, তারপর স্কুলে বেশ কয়েক রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শেষে নিজে আত্মহত্যা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলারকারীর মুখ মাস্ক ও মাথা কালো মাঙ্কি ক্যাপে ঢাকা ছিল, পরনে ছিল কালো রংয়ের টি-শার্ট। সেই টিশার্টে ছিল নাৎসীবাদের প্রতীক স্বস্তিকা চিহ্ন।
আরআইসির কর্মকর্তারা ওই হামলারকারীর পরিচায় প্রকাশ করেননি। তবে এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামলাকারী ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
উদমুর্তিয়ার একজন আইনপ্রণেতা আলেকজান্দার খিনস্তেইন জানিয়েছেন, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, দু’টি অটোমেটিক পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে হামলাকারীর মৃতদেহ তল্লাশি করে।
এদিকে স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকায় রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে হামলার সময়কার একাধিক ভিডিও ফুটেজ। কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে শিক্ষার্থীদের আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।
হামলার পর অবশ্য বেশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রাদেশিক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। স্কুলের সব শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও স্টাফদের সরিয়ে নেওয়ার পর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে সেটির দৈনন্দিন কার্যক্রম।
সোমবারের আগে রাশিয়ার সর্বশেষ স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছিল চলতি বছর এপ্রিলে। দেশটির উলিয়ানোভস্ক প্রদেশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে গুলি চালিয়ে এক শিক্ষক ও দুই শিশু শিক্ষার্থীকে খুন করেছিল এক হামলাকারী।