যতটা না দেশের, তার চেয়ে বেশি ক্লাবের—দীর্ঘ সময় লিওনেল মেসিকে এ ধরনের অপবাদ গায়ে মাখতে হয়েছে। কোনোভাবেই যে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দিতে পারছিলেন না মেসি। অবশেষে তাঁর শিরোপাখরা ঘুচেছে গত বছর।
মারাকানায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপা-খরা ঘুচিয়েছেন মেসি। নিজে হয়েছেন টুর্নামেন্ট-সেরা। ‘ওয়ান ব্রিংগস অ্যানাদার’ কথাটার মর্মার্থ বুঝিয়ে এ বছর এনে দিয়েছেন ফাইনালিসিমার শিরোপাও। সর্বশেষ হন্ডুরাসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল।
সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনা অপরাজিত টানা ৩৪ ম্যাচ! ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও মেসি সমানতালে গোল-অ্যাসিস্ট করে চলেছেন। সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করে তাঁদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনছেন।
বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘সি’তে থাকা আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। প্রথম পর্ব পেরিয়ে নকআউট পর্বে উঠতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে মেসিদের। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছেন না ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটজয়ী হ্রিস্টো স্টইচকভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘এই আর্জেন্টিনা যে কাউকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। কোন ম্যাচে কী করতে হবে, সেটা আমাদের কাছে এখন পরিষ্কার।’
বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ছোটখাটো ভুল করলেই শিরোপা-স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে পারে। ২০১৪ সালে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে মেসির। এবার তাই সতর্ক আর্জেন্টিনা মহাতারকা, ‘জানি, অভিযানটা ভীষণ কঠিন। ছোট ভুল আপনার কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিতে পারে। তবে আমরা দীর্ঘদিন যেভাবে খেলে আসছি, বিশ্বকাপেও সেভাবেই খেলব।’