টানা দুই ম্যাচে সেরা হওয়ার পর কোয়ালিফায়ার ম্যাচে এসে ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। এদিন তার ব্যাট হাসেনি, বল হাতেও ছিলেন গড়পড়তা। তাতেই পরাজয় দেখতে হয়েছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়রকে। তবে বলতে গেলে রাকিম কর্নওয়ালের বিস্ফোরক ইনিংসের ম্যাচে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে গায়ানা। ব্যাট হাতে এদিন গায়ানা বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান রাহকিম। তাকে যোগ্য সহায়তা দেন পাকিস্তানের আজম খান।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে এদিন আগে ব্যাট করে রাকিম কর্নওয়ালের ১১ ছক্কায় ৫৪ বলে ৯১ রান ও পাকিস্তানের আজম খানের ৫২ রানের উপর ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান করে বার্বাডোস। সাকিব ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে কর্নওয়ালের উইকেটটি পান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে মাত্র ১০৪ রানেই অল আউট হয় সাকিবের গায়ানা। অধিনায়ক হেটমায়ার সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। সাকিব ২ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন।
আগে ব্যাট করতে নেমে বারবাডোজের ইনিংস মেরামতে নামেন কাইল মায়ার্স ও রাকিম কর্নওয়াল। মায়ার্স ২০ বলে ৩ ছয় ও ১ চারে ২৬ রান করে আউট হন। রাকিম ৫৪ বলে ১১ ছক্কা ও দুটি চারে খেলেন ৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এরপর চারে নেমে শারীরিকভাবে মোটা আরেক ক্রিকেটার আজম খান ঝড় দেখান। পাকিস্তান এই ব্যাটার ৩৫ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৫২ রান যোগ করে আউট হন।
রাকিমের ঝড়ে দিশেহারা হয়ে গায়ানা ম্যাচে আট বোলার ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে তরুণ স্পিনার জুনিয়র সিনক্লিয়ার ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। সাকিব ও গুদাকেশ মতি ৩ ওভারে যথাক্রমে ২২ ও ২৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। রেমন শেইফার্ড ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তারা ভালো বোলিং করলেও কেমো পল (১.৪ ওভারে ২৩), ওডেন স্মিথ (৪ ওভারে ৪০) এবং ইমরান তাহির (৩ ওভারে ৩৪) খরুচে ছিলেন।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট পড়লে পাওয়ার প্লেতেই নামেন সাকিব। কিন্তু টিকতে পারেননি দুই বলের বেশি। রেমন্ড সাইমন্ডসের বলে এলবির ফাঁদে পড়ার আগে করেন মাত্র এক রান। চন্দ্রপল হেমরাজও দ্রুত বিদায় নিলে পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গায়ানা।
এরপর আর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। সিনক্লেয়ার ও তাহিরের ২০ রানের শেষ উইকেট জুটিতে কোনোমতে একশো পেরুতে সক্ষম হয় গায়ানা। শেষ পর্যন্ত ১৪ বল বাকি থাকতে অল আউট হয়। ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার।
ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ অবশ্য পাবেন সাকিবরা। এলিমিনেটরে জ্যামাইকা তালাওয়াহস ও সেন্ট লুসিয়া কিংসের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে গায়ানা।