সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উড়ছিল গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। তলানিতে থাকা দলটিকে কোয়ালিফায়ারে তুলতে দারুণ অবদান রাখেন লিগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স করে। কিন্তু কোয়ালিফায়ারের দুই ম্যাচে তিনি নিষ্প্রভ, দলও হারলো দুটিতেই। তাতে ফাইনালে উঠতে পারলো না পাঁচবারের রানার্সআপরা।
বুধবারের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জ্যামাইকা তাল্লাওয়াসের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার দ্বিতীয় সুযোগ গায়ানা কাজে লাগাতে পারেনি ৩৭ রানে হেরে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে বার্বাডোজ রয়্যালসের কাছে হারে তারা।
শামারা ব্রুকস ৫২ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জ্যামাইকাকে ৪ উইকেটে ২২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দেন। জবাবে গায়ানা ৮ উইকেটে ১৮৯ রান করে। ২০১৬ সালের পর প্রথমবার ফাইনালে উঠলো দুইবারের চ্যাম্পিয়ন জ্যামাইকা।
তৃতীয় ওভারে ১৬ রানে জ্যামাইকার ২ উইকেট নিয়ে দারুণ শুরু করে গায়ানা। এরপর নেমে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন শামারা। রভম্যান পাওয়েলের (৩৭) সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ার পর রেইমন রেইফারকে নিয়ে ৫২ রানের জুটিতে ধাক্কা সামলে নেন তিনি।
১৬তম ওভারের প্রথম বলে রেইফার (২২) আউট হওয়ার পর তাণ্ডব চালান ইমাদ ওয়াসিম ও শামারা। যার শিকার হন সাকিবও। প্রথম দুই ওভারে ৯ রান দেওয়ার পর তৃতীয় ও ইনিংসের ১৭তম ওভারে ২১ রান দেন বাঁহাতি স্পিনার, শামারা মারেন ৩ ছয়। কোপ পড়েছিল ওডিন স্মিথের ওপর সবচেয়ে বেশি, ৪ ওভারে ৬৪ রান দেন তিনি। ইমাদ ও শামারা মিলে মাত্র ৩০ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত জুটিতে ইনিংস শেষ করে আসেন।
শেষ ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরে সিপিএল ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম শতক হাঁকান শামারা। এই সিপিএলের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৫২ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৮ ছয়। ইমাদ ১৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে।
সাকিব ৩ ওভার বল করে ৩০ রান দেন, কোনও উইকেট পাননি তিনি। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট রোমারিও শেফার্ডের।
বড় লক্ষ্যে নেমে রানের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি গায়ানা। কিমো পল সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। শাই হোপ করেন ১৩ বলে ৩১ রান। এছাড়া আর কেউই উল্লেখ করার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। সাকিব ৬ বলে ৫ রান করে আউট হন।
জ্যামাইকার পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন ক্রিস গ্রিন ও ইমাদ।