লক্ষ্য ২০৯ রান। টি-টোয়েন্টিতে ভীষণ কঠিন। কিন্তু এই কঠিন লক্ষ্য তাড়া করে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ জমিয়ে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
পার্থে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।
দুই দল মিলিয়ে এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করে ৪০৮ রান। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১৬ রান। হাতে ৩ উইকেট। কঠিন হলেও রানবন্যার ম্যাচে অসম্ভব ছিল না। ক্রিজে আবার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পরীক্ষিত হার্ডহিটার ম্যাথু ওয়েড।
স্যাম কুরানের করা ওই ওভারে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের আশাবাদী করে তোলেন ওয়েড। কিন্তু কুরান মাথা ঠাণ্ডা রেখে এরপর বল করে গেছেন। দ্বিতীয় বলে ডট, তৃতীয় বলে ওয়েডকে তুলে নেন কুরান।
এক বল পর ইংলিশ বাঁহাতি পেসার বোল্ড করেন নাথান এলিসকে। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত এক ওভারে খরচ করেন ৭ রান, তুলে নেন দুই উইকেট। ৯ উইকেটে ২০০ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ার ভিতটা মূলত গড়ে দিয়েছিলেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ৪৪ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৭৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এছাড়া মিচেল মার্শ ২৬ বলে ৩৬, মার্কাস স্টয়নিস ১৫ বলে ৩৫ আর শেষদিকে ম্যাথু ওয়েড ১৫ বলে করেন ২১ রান।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মার্ক উড। ৩৪ রানে নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার রিস টপলি আর স্যাম কুরানের।
এর আগে দুই ওপেনার জস বাটলার আর অ্যালেক্স হেলসের ঝোড়ো ব্যাটে চড়ে ৬ উইকেটে ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ইংল্যান্ড।
টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোই কাল হয় অস্ট্রেলিয়ার। বাটলার আর হেলস ৬৮ বল খেলেই তুলে দেন ১৩২ রান। বিধ্বংসী এই ওপেনিং জুটিটি অবশেষে ভাঙে বাটলার আউট হলে। ইংলিশ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ৩২ বল খেলে ৮ চার আর ৪ ছক্কায় করেন ৬৮ রান।
আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ৫১ বলে খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। যে ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার। ফলে বেন স্টোকস (৯), হ্যারি ব্রুকস (১২), মঈন আলিরা (১০) বড় রান করতে না পারলেও ইংল্যান্ড ঠিকই বড় পুঁজি পেয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাথান এলিস। রানবন্যার ইনিংসে ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন এই পেসার।