1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

ভারতে বসেই মামুন মিরপুরে সন্ত্রাসের রাজত্ব চাইছিলেন

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তাঁর নাম মো. মফিজুর রহমান মামুন। তাঁর বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
মামুন একসময় মিরপুরের আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনি ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হন এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করেন। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে—ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কাছে এই খবর ছিল। এর ভিত্তিতে ওই চক্রকে ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি মো. মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
মামুন একসময় মিরপুরের আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনি ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হন এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করেন। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হন।

গ্রেপ্তার মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। অপরাধজগতে তাঁর অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।

তবে মামুন গ্রেপ্তার হতে পারেন—এমন খবর সপ্তাহখানেক ধরেই আলোচনায় ছিল, যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে সময় এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

সূত্র : প্রথম আলো

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি