টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দু’বারের বিশ্ব সেরাদের এবার খেলতে হবে প্রথম পর্ব। এক আসর পর ফিরেছে জিম্বাবুয়ে। গ্রুপে অন্য দু’প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। গ্রুপ পরিচিতিতে আজ জানবো প্রথম পর্বের গ্রুপ বি এর কথা।
ভাবুন তো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেমন হবে? এমন শঙ্কা থাকলেও সম্ভাবনা কম। কেননা বি গ্রুপে দুবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গী জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। শক্তি, সামর্থ্য আর পরিসংখ্যানে এগিয়ে ক্যারবিয়রা। বিশ্বকাপে খেলেছে ৩৬ ম্যাচ। জয় ৫০ শতাংশ। ১৬ হারের সঙ্গে টাই ২টি।
ব্যাটিংয়ে ভরসা নিকোলাস পুরান। ১৩০ এর বেশি স্ট্রাইকরেট খেলেছেন ৬৭ ম্যাচ। বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের দায়িত্বটাও তার কাঁধে।
আরেকজনের উপর ভরসা রাখবে উইন্ডিজ। তিনি জেসন হোল্ডার। অলরাউন্ডার হয়েও নেতৃত্ব দেবেন বোলিং ইউনিটের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এ বছর সবচেয়ে বেশি ২৩ উইকেট তার দখলে।
এক আসর পর টি টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে জিম্বাবুয়ে। কোয়ালিফারে বি গ্রুপে পাঁচ ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া সফর। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ওয়ানডে জয়ে চাঙ্গা পুরো দল।
দেশটির প্রাণ ভ্রোমরা সিকান্দার রাজা। বাছাই পর্বে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। এক মাসের ব্যবধানে স্ট্রাইকরেট ১০৬ থেকে তুলেছিলেন দেড়শ। ক্রেইগ অরভিন তৈরি ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলতে।
টেন্ডাই চাতারা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা আর ব্লেসিং মুজারাবানি ফিরেছেন ইনজুরি থেকে। স্পিন ঘূর্নিতে ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন রায়ান বার্ল।
টানা সাতবার বিশ্ব মঞ্চে আয়ারল্যান্ড। এবার লক্ষ্য সুপার টুয়েলভ। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিশ্বকাপে নেই তেমন কোন সুখস্মৃতি। র্যাঙ্কিংয়ের ১২ নম্বর দলটি ১৮ ম্যাচে জিতেছে চারটি।
পল স্টার্লিং আর এন্ড্রু বালবার্নি দেশটির ব্যাটিং স্তম্ভ। টি টোয়েন্টিতে ৩ হাজার রানের মাইলফলকে স্টার্লিং।
গেল আসরে প্রথমবার সুপার টুয়েলভ খেলেছে স্কটল্যান্ড। সে যাত্রায় তাদের কাছে হার মেনেছে বাংলাদেশ, পাপুয়া নিউগিনি আর ওমান। চতুর্থবার অংশ নিচ্ছে বিশ্ব আসরে।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির পর কোন ম্যাচ মিস করেননি দলের অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। টানা ৭২ টি টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
১৬ অক্টোবর পর্দা উঠছে অস্ট্রেলিয়া আসরের। একদিন পর হোবার্টে শুরু হবে বি গ্রুপের খেলা। তিন দিনে হবে ছয় ম্যাচ।