নিজস্ব প্রতিবেদক :আল জাজিরায় ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামে বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। তাতে মুখ্য কুশীলবের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সামি নামের এক ব্যক্তি। সেই বিতর্কিত প্রতিবেদনে তাকে হোটেল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তিনি বুদাপেস্টে হোটেল ব্যবসা করেন। ‘কারী হাউজ’ নামে তার একটি হোটেল আছে বলে পরবর্তীতে জানা যায়।
সেই সামি সম্প্রতি ওই প্রামাণ্যচিত্র প্রচারিত হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার নেত্র নিউজে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি তার বেশভূষাও পাল্টে ফেলেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, শশ্রুমন্ডিত এক সামিকে। নেত্র নিউজের সেই সাক্ষাৎকারে তিনি আরেক বিতর্কিত সাংবাদিক তাসনিম খলিলের কাছে বলেছেন যে, তিনি এখন সাংবাদিক হয়েছেন। আল জাজিরা তাকে সাংবাদিকতা দিয়েছে। বিশ্বে এখন সাংবাদিকতা তাহলে এত সহজে হয়ে গেল যে একজন হোটেল ব্যবসায়ী চাইলেই রাতারাতি সাংবাদিক হয়ে যেতে পারে। সামির অতীত পরিচয় আরো ভয়ঙ্কর এবং ভয়াবহ ছিল। একসময় সামি ছিল হাওয়া ভবনের দালাল এবং তারেক-মামুনদের ফুর্তির জন্য নারী উপঢৌকন দেয়া ছিল তার প্রধান পেশা। খোয়াব ভবনে নিয়মিতভাবে তাকে উপঢৌকন পাঠাতে হতো তারেক এবং মামুনের মনোরঞ্জনের জন্য। সেই সূত্র ধরেই সামি একটি ইভেন্ট ফার্ম গড়ে তুলেছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি পালিয়ে হাঙ্গেরিতে যান। সেখানে সামি হোটেল ব্যবসা করেন এবং এতদিন ধরে আওয়ামী লীগের পরিচয় দিতেন। এখন তারেকের নির্দেশ অনুযায়ী সামি সরকার বিরোধী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে উৎসাহিত হয়েছিলেন এবং তিনি কিছু অসত্য তথ্য দিয়ে এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করেছিলেন। নেত্র নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে সামি দাবি করেছেন যে, ‘তিনি আল জাজিরাকে এই তথ্যগুলি পাঠিয়েছেন। পাঠানোর পরে আল জাজিরা তাকে সাংবাদিক হিসেবে নিয়েছে।’ এই থেকে বোঝা যায় যে, আল জাজিরার অবস্থা কি এবং সামির অবস্থা কি! সাংবাদিকতা যদি সহজ পেশা হতো তাহলে পৃথিবীতে সাংবাদিকের অভাব হতো না। সামির এই বারবার পরিচয় বদল করা থেকেই প্রমাণ হয় যে, সামি আসলে একজন মতলববাজ এবং একটি অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই এ কাজটি করেছে।
সূত্র : বাংলা ইনসাইডার