প্রথম রাউন্ডের বি গ্রুপে প্রতিটি দলই জিতেছে একটি করে ম্যাচ, ফলে শেষ ম্যাচটা সবার জন্যই অঘোষিত নকআউট ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই ম্যাচে আজ শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে গেছে আয়ারল্যান্ডের কাছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে খেলে আইরিশরা ক্যারিবীয়দের হারিয়েছে ৯ উইকেটের ব্যবধানে। ফলে উইন্ডিজের বিদায় আর আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল।
হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে আজ শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকলাস পুরান। দলে এসেছিল একটি পরিবর্তন, ব্রেন্ডন কিংকে ফেরানো হয় একাদশে। ওদিকে আইরিশ একাদশ অবশ্য ছিল অপরিবর্তিতই।
প্রথমে ব্যাট করা ক্যারিবীয়রা ধাক্কা খায় শুরুতেই। কাইল মেয়ার্স বিদায় নেন ব্যারি ম্যাকার্থির শিকার হয়ে। আরেক ওপেনার জনসন চার্লস ১৮ বলে ২৪ করে ফেরেন এরপর।
তবে সিমি সিংয়ের সেই ওভারেই আরও একটা উইকেট পেতে পারত আয়ারল্যান্ড। কিংয়ের সেই ক্যাচটা তালুবন্দি করতে পারেননি সিমি। আইরিশরা তার খেসারতই দিয়েছে এরপর। ওপাশে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখলেও কিং ঠিকই একপাশ আগলে খেলে ফেলেছেন ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস।
শেষে এসে ওডিন স্মিথের কাছ থেকে দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন। স্মিথ ১২ বলে দুই ছক্কায় করেছেন ১৯ রান। ফলে উইন্ডিজ শেষমেশ ১৪৬ রানের পুঁজি পায়।
পুঁজিটা যে যথেষ্ট নয়, আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি আর পল স্টার্লিং বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুরুতেই। পাওয়ারপ্লেতেই তুলে ফেলেছিলেন ৬৪ রান। ম্যাচের ফলটা সেখানেই তো ঠিক করে ফেলেছিল দলটা!
পাওয়ারপ্লের পর বিদায় নেন বালবার্নি। ৩টি করে ছক্কা আর চারে তিনি করেন ২৩ বলে ৩৭। তাতে অবশ্য আইরিশদের জয়ের পথটা বন্ধুর হয়নি একটুও! পল স্টার্লিং তার স্বাভাবিক খেলাটাই ধরে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। উইকেটরক্ষক ব্যাটার লরকান টাকার ৩৫ বলে ৪৫ রান করে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন তাকে। ফলে আইরিশরা কখনোই জয়ের পথ থেকে সরে যায়নি। শেষমেশ ৯ উইকেটের জয়টাও তুলে নেয় দলটি। তাতেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজের, আয়ারল্যান্ড চলে যায় সুপার টুয়েলভে।