সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মরা গাঙে জোয়ার এসেছে। এখন আপনারা কিছু টেউ দেখতে পাচ্ছেন। এটা ভালো।
আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত এমআরটি লাইন-১ (মেট্রোরেল) এর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবকে বিকেলে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, একটা জেলা সম্মেলনে কত মানুষ হয় দেখার জন্য। লাখ বলে বলে মনকলা খাচ্ছেন চিত্তকে সুখ দেওয়ার জন্য। ভুলে গেছেন, আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ফুটপাতের ওপর আমরা মিটিং করতে পারিনি, বাধা কাকে বলে। মোহাম্মদ নাসিম নেই, মতিয়া চৌধুরীকে পেটানো হয়েছে। সাধারণ একটা সমাবেশে আব্দুস সামাদকেও রেহাই দেওয়া হয়নি, তিনিও হাসপাতালে গেছেন। বিএনপি বাধার কথা বলে, জাতীয় পার্টিও বলছে তাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থা তো আমাদের ওপরও ছিল। কি না করেছে তারা।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহও আমি ঘরে থাকতে পারিনি। কিন্তু তারা সবাই নিজের ঘরে অবস্থান করছেন। মরা গাঙ্গে জোয়াড় আর আসবে না। গণমাধ্যমকর্মীরা এতদিন পর ঘুমিয়ে থাকাদের জেগে উঠতে দেখে বড় করে ছবি প্রচার করেছে।
বিএনপির কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ কোন পাল্টা কর্মসূচি দেবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে কিসের পাল্টাপাল্টি। প্রতিদিন আমাদের প্রোগ্রাম হচ্ছে। লাখ লাখ লোক দেখবেন? আসেন। ২৯ তারিখ ঢাকা মহানগর সম্মেলন করব, সেখানে আসেন।
বিএনপির সমাবেশ হলে বাস ধর্মঘট হয়, এ বিষয় জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রামে কি বাস বন্ধ ছিল। বাস-মালিকদের সেটি জিজ্ঞাসা করুন। আমি যখন মন্ত্রী তখন যে তারা (বাস-মালিক) আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করেছে। বেসরকারি গাড়ি চালাবে কি না চালাবে সেটি আমি জোর করতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে যখন করে তখন আপনারা দেখেন না?
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়মী লীগ কি পালানোর দল, তারা কেন পালাবে? পালিয়েছেন যিনি আপনাদের মূল নেতা। যিনি টেমস নদীর পার থেকে ফরমায়েশ দেন। যার নির্দেশে চলেন তিনি তো কাপুরুষের মতো মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছেন লন্ডনে। দেশে ফেরার সৎ সাহস পেলেন না। তিনি নাকি আবার গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেবেন! পাগলে কী না বলে ছাগলে কী না খায়।