বঙ্গপোসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। ঝড়টি নিয়ে যেমন শঙ্কার শেষ নেই, তেমনি অনেকের মাঝেই কৌতুহল, কী অর্থ এই নামের।
অনেকেই বলছেন, সিত্রাং অর্থ পাতা বোঝায়, তবে সেটা ভিয়েতনামিদের ভাষায়। নেট দুনিয়ায় ঘুরেও যখন থাই ‘সিত্রাং’ শব্দের তেমন কোনো ব্যাখ্যা মিলল না, তখন কৌতুহল মেটালেন থাই পিবিএস-এর সাংবাদিক কানালাওয়াই ওয়ায়েক্লায়হং।
তিনি বলেন, এটি এক ধরনের ফুল গাছ। ব্রাজিল থেকে শত বছর আগে থাইল্যান্ডে আনা হয়েছিল এই গাছ। সিত্রাং গাছে বেগুনি রঙের ফুল আসে জানুয়ারি-মার্চ মাসে।
তবে ইংরেজি হরফে লেখা (ঝড়ের তালিকায়) Sitrang এবং উচ্চারণ Si-Trang, এখানে Si শব্দের অর্থ হচ্ছে রং, সহানুভূতি, সম্মানীয় ইত্যাদিও বোঝায়- যোগ করেন কানালাওয়াই ওয়ায়েক্লায়হং। আর ত্রাং হচ্ছে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি প্রদেশ। ফুলের জন্য এই প্রদেশের বেশ সুনামও রয়েছে।
আভিধানিক অর্থ সুন্দর মনে হলেও এটি যখন সামুদ্রিক ঝড়, তখন ফিকে হয়ে যায় সিত্রাংয়ের সব রং। আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালের দিকেই এটি আছড়ে পড়বে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে। সে সময় এটির গতিবেগ থাকবে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হেনেই শক্তি ক্ষয় হতে শুরু হবে সিত্রাং-এর।
ইতিমধ্যে ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সারাদেশে। রাজধানীতে ভোর রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া। উপকূলীয় জেলাগুলোয় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে নদী বন্দরগুলোতে তিন নম্বর সংকেত তোলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে তোলা হয়েছে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে তোলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত।