পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। স্থানীয় সময় আজ সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ইমরান খানের আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ দেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
আদালত বলেছেন, তোষাখানা মামলায় নির্বাচন ইমরান খানকে আগামী ৫ বছর নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করলেও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৪৫ নম্বর আসন কুররামের উপনির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। আগামী ৩০ অক্টোবর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের রায় চ্যালেঞ্জ করে ইমরান খান ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী জাফর আদালতের কাছে দ্রুত এই বিষয়ে শুনানি শুরুর আবেদন জানান। এ সময় আদালত, তাঁর কাছে জানতে চান কেন দ্রুত শুনানি করতে হবে। জবাবে আলী জাফর জানান—তাঁর ক্লায়েন্ট কুররামের উপনির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন। জবাবে বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ বলেন, ‘ওই নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হননি ইমরান খান।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘সবার জন্য একই মানদণ্ড অনুসরণ করা উচিত। তাই এই মামলায় কোনো তাড়াহুড়ো নেই।’ এ সময় আদালত আরও জানান, আদালত এই মামলার ওপর থেকে সব আপত্তি সরে গেলেই এর শুনানি আরম্ভ হবে।
আদালতে ইমরান খানের আইনজীবী আলী জাফর নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার ওপর স্টে অর্ডার আবেদন করেন। জবাবে, বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে এই মামলার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো আদালতের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনো রায়ের ওপর স্টে অর্ডার চান?’ এ সময় তিনি আরও জানান, উপনির্বাচনের বিষয়ে ইমরান কোনো সমস্যায় পড়বেন না। আদালত এ সময়, পিটিআইয়ের কৌঁসুলিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে ইমরান খানের আবেদনের ওপর যে আপত্তিগুলো রয়েছে সেগুলো অপসারণের নির্দেশ দেন।