ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষার অনুমোদন নিয়ে এখন সংশয় রয়েছে। কারণ তুরস্ক তাদের সদস্যপদের আবেদনে নতুন করে আপত্তি জানিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের নেটোতে যোগদানের আবেদনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।তিনি দেশগুলোর বিরুদ্ধে কুর্দি গোষ্ঠীসমূহকে (যেগুলোকে আঙ্কারা সন্ত্রাসবাদী বলে মনে করে) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
অক্টোবরের শুরুতে তুর্কি এই নেতা স্টকহোমকে আঙ্কারার প্রতি দেশটির প্রতিশ্রুতি পালন না করার জন্য অভিযুক্ত করে বলেছিলেন যে, তুরস্কের শত্রুরা সুইডেনে অবাধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরদোয়ান অবশ্য বলেছেন, তুরস্কের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি সুইডেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত।
দুভার নিউজ পোর্টালের বিশ্লেষক ইলহান উজগেল বলেছেন, ওয়াশিংটন থেকে কিছু ব্যাপারে ছাড় পাওয়াই এরদোয়ানের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ‘ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের সদস্যপদের আবেদনকে তিনি পশ্চিম থেকে কিছু পাওয়ার জন্য দর কষাকষির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে; হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ক্রয় বা নির্বাচনের সময় বহির্দেশের সমর্থন।’
এরদোয়ান সম্পর্কে উজগেল আরও বলেন, ‘তিনি সম্পূর্ণভাবে এবং সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছেন কারণ তিনি অভ্যন্তরীণভাবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। তাই, তাকে নির্বাচনে জিততে হবে, তাই ক্ষমতায় থাকার জন্য অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিকভাবে যা করা প্রয়োজন তিনি তা করতে যাচ্ছেন।’
বিশ্লেষকরা বলেছেন, এরদোয়ান ন্যাটো এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন; কারণ তারা এরদোয়ানের ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী ঘাঁটির মধ্যে ভালো ভূমিকা পালন করে। এর অর্থ হলো ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।