বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১১ নভেম্বর, ২০২২ই, শুক্রবার, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এমপি।
উক্ত যুব মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আজ সোমবার ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক, আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করনে-ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন-ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই যুব মহাসমাবেশের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের একটা হুঁশিয়ারি দিতে চাই যে আপনারা যদি অগ্নি সন্ত্রাস করেন তাহলে এদেশের জনগণ আপনাদের নেতৃবৃন্দকে গণধোলাই দিয়ে ঘরে পাঠাইয়া দিবে। এখনো সময় আছে রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলুন। আমাদের ভয় দেখাবার চেষ্টা করবেন না। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, আমরা আপনাদের মত স্বাধীনতা বিরোধী সুবিধাবাদী দলকে ভয় পাই না।
যুবলীগ দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসাবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং এই সংগঠন এবং এই সংগঠনের নিবেদিত নেতা-কর্মীরা আপনাদের মতো স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে যাবো। আপনাদের মোকাবিলা করতে যে কোন দিন, যে কোন সময় যুবলীগ প্রস্তুত আছে। চ্যালেঞ্জ দিলাম এবং আপনাদের জবাবের অপেক্ষায় রইলাম। ১০ ডিসেম্বরের হুমকি দেন? ১০ ডিসেম্বরেও আমরা রাজপথে আপনাদের অপেক্ষায় থাকব। দেখি শেখ হাসিনাকে কে উৎখাত করে?
তিনি আরও বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর আপনারা টের পাবেন যে আওয়ামী লীগকে আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা সম্ভব না। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি-মানুষের সংগঠন। এদেশের মানুষের জন্য আমরা রাজনীতি করে আসছি। জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি। আপনাদের মত যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। জামাত-শিবিরের অংশগ্রহণ ছাড়া আপনারাতো ৫০০ লোকও জড়ো করতে পারেন না।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১১ নভেম্বরের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব যুবলীগের অগণিত নেতা-কর্মীদের উৎসব। আমি জানি এই সংগঠনটিকে আপনারা এবং আপনাদের পূর্বসূরিরা পরম ভালবাসার সাথে লালন-পালন করে শুধু জীবিত রেখেছে তা নয়, সর্ব বৃহৎ এবং সর্ব শক্তিশালী যুবসংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আগামী ১১ নভেম্বরে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দৃশ্যমান, সময়োপযোগী ও সর্বজনপ্রশংসিত এই যুব মহাসমাবেশ একমাত্র যুবলীগই সফল করতে পারবে। আমি জানি, ইতোমধ্যে আপনারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপনাদের এই প্রস্তুতি আমাদেরকেও অনুপ্রাণিত করে এবং স্বস্তি দেয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, যিনি এদেশের মেহনতি মানুষের ভাল থাকার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন সেই প্রিয়নেত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা করোনা পরবর্তী সময়ে এই প্রথম যুবলীগের মহাসমাবেশে উপস্থিত হবেন।
তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-যুবলীগের যুব মহাসমাবেশকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে। তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদাসহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।