ফরচুন পিংক ডায়মন্ড বা গোলাপি হীরা বিশ্বের অন্যতম দুর্লভ রতœগুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বজুড়ে এই গোলাপি হীরার ইতিহাস রয়েছে। বলা হয়, সম্রাটের রতœভাণ্ডারে পাওয়া যায় এই ধরনের অমূল্যরতন। সম্প্রতি নিলামে উঠেছিল সেরকমই একটি হীরা। শেষপর্যন্ত ২৮.৫ লাখ ডলারে এই গোলাপি হীরার মালিক হলেন এশিয়ার একজন ক্রেতা।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি নিলামে উঠেছিল ‘ফরচুন পিংক’ নামের ১৮.১৮ ক্যারেটের এই হীরাটি। অবশেষে ২৮.৪ লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক অর্থাৎ সাড়ে ১৮ লাখ ডলারে নিলাম করা হয় এই দুর্লভ রতœটির।
নিলামকারী সংস্থা জানিয়েছে, এশিয়ার একজন ক্রেতা এই গোলাপি হীরার মালিক হয়েছেন। নিলামের আয়োজনকারী ক্রিস্টিস জানিয়েছেন, বিরল শ্রেণিতে পড়ে এই হীরাটি। উজ্জ্বল গোলাপি রংয়ের সঙ্গে নাশপাতি আকৃতি এই হীরাকে অন্যন্য সৌন্দর্য দেয়।
ফরচুন পিংক হীরাটি ১৫ বছর আগে ব্রাজিলে খননের সময় পাওয়া গিয়েছিল। অনুমান করা হয়েছিল, ২৫ লাখ থেকে ৩৫ লাখ ডলারের মধ্যে বিক্রি হবে এই হীরাটি। যদিও নিলামের আয়োজকরা দেখেন, হীরাটির মধ্যে একটি বিশেষত্ব রয়েছে। ক্যারেটের হিসাবে এর ওজন ১৮.১৮ যা এশিয়ার দেশগুলোতে সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনে বলে বিশ্বাস করা হয়।
জেনেভার হোটেল ডেস বার্গেসে একটি বিশাল অলঙ্কার বিক্রির সময় হীরাটির নিলাম করা হয়েছিল। জেনেভায় ক্রিস্টি’স লাক্সারি উইক সেল চলাকালীন এই হীরাটি কেনার জন্য মানুষের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ দেখা যায়। এই হীরার নিলাম শুরু হয় ১৭ লাখ ডলার থেকে। চার মিনিট ধরে চলেছিল এই দর কষাকষি।
গোলাপি হীরাটি প্রথম জেনেভাতে প্রদর্শিত হয়েছিল। তারপরে শোরুম সফরের অংশ হিসাবে এটি নিউ ইয়র্ক, সাংহাই, তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর অক্টোবরে সুইজারল্যান্ডে ফিরে আসে।
গোলাপি হীরা আসলে কী?
গোলাপী হীরা পৃথিবীতে পাওয়া দুর্লভ রতœগুলির মধ্যে একটি, তাই এগুলো খুব বেশি দামে বিক্রি হয়। প্রথম গোলাপি হীরাটি ভারতের গোলকুন্ডা খনিতে পাওয়া গিয়েছিল। ষোড়শ শতকের পরবর্তী বছরগুলোতে এ ধরনের হীরা অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়াতেও পাওয়া গেছে।
গোলাপি হীরা নিয়ে একটি তথ্য রয়েছে তা হলো—এই হীরের গোলাপী রং একটি ত্রুটির কারণে আসে। যে কারণে এই হীরাতে আলো ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। যা এর উজ্জ্বলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এর রঙ গোলাপিতে রূপান্তরিত হয়।