হাঁটি হাঁটি পা পা করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখন শেষের পথে। সামনে মাত্র একটি ম্যাচ। তাতেই নির্ধারণ হবে ক্রিকেটের খুদে সংস্করণের এবারের সিংহাসন যাবে কার দখলে? শিরোপায় চুমু খাবেন কে? বাবর আজম নাকি জস বাটলার?
সেটা জানতে চাতক পাখির মতো প্রহর গুনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শুধু পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড সমর্থকরাই নন; গোটা ক্রিকেটবিশ্বের চোখ এখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে।
সেখানের ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফাইনালে ওঠা পাকিস্তান এখন জয়ের বিকল্প ভাবছেই না। শিরোপা নিয়েই ঘরে ফিরতে চান বাবর আজম। সেই ভাবনায় ইংল্যান্ড দলকে কাবু করতে সম্ভব হলে ১১জন অলরাউন্ডার নিয়ে নামতে চান বাবর আজম।
গত ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের দুই ইংলিশ ওপেনার যেভাবে তুলোধোনা করেছেন, তাতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে পাকিস্তান দলে। তবে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সবচাইতে শক্তিশালী। তাই ইংল্যান্ডকে কম রানে বেধে ফেলতে শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহের বিকল্প দেখছেন না বাবর আজম।
দুই স্পিন অলরাউন্ডার শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজও থাকছেন নিশ্চিত। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
ব্যাটিংয়ে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ভিত গড়ে দিতে পারলে কেল্লাফতে। তবে তারা ব্যর্থ হলে সে দায়িত্ব কাঁধে নেবেন মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ ও ইফতেখার আহমেদ।
এক কথায় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ের একাদশে কোনো পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনাই বেশি।
পাকিস্তান দলের সম্ভাব্য একাদশ
মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।