পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে আগামী বছর জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায়। আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা বলেন সরকারপ্রথধান। আসামের স্পিকার চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ৩২ সদস্যের বিধায়কের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করছে। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল রপ্তানি করা।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দেশের সীমান্ত লাইনের বিভিন্ন অংশে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্ডার হাটগুলো আবার চালু হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আসাম বিধায়ক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি সাংবাদিকদের জানান, আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়াতেই শুভেচ্ছা সফর হিসেবে ঢাকায় আসছেন তারা। সংসদীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানবেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা সফরকালে বিধানসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আসামের প্রতিনিধি দলটি রাঙামাটি জেলায় অসমিয়া লোক বাস করা একটি গ্রামে যাবেন। তারা বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেবে। এরপর প্রতিনিধি দলটি খাগড়াছড়িতে বাস করা বোড়ো জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। সফর শেষে আগামী ২৩ নভেম্বর প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ছাড়বে।