ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। কেবল গতকাল রোববারই পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে প্রায় ৪০০টি গোলাবর্ষণ করে রুশ বাহিনী। নিয়মিত রাত্রিকালীন ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, চলতি মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন থেকে নিজেদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। এসব সেনার কিছু অংশকে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে মস্কোর অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন তার মধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক রয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘দোনেৎস্ক অঞ্চলে আগের মতো লড়াই চলছে। আর লুহানস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ের সময় আমরা ধীর পদক্ষেপে অগ্রসর হচ্ছি। আজ পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৪০০ গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দখলদার বাহিনীর সম্ভাবনাকে ধারাবাহিক ও খুব সুচিন্তিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
কয়েক দিন ধরে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রাশিয়া। গত বৃহস্পতিবার দেশটির জ্বালানি অবকাঠামোয় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ সেনারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের এক কোটির বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলার কৌশল নিয়েছে। তুষারের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘর গরম করতে পারছেন না নাগরিকেরা। এতে প্রচণ্ড ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের। এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় ভিনিসিয়া, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ওডেসার বন্দর শহর এবং উত্তর পূর্বের সুমে শহর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।