ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের মালিকপক্ষ এবং কোচ এরিক টেন হাগের কড়া সমালোচনা করে যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো- তারপর সবকিছু একরকম অনুমিতই ছিল।
অবশেষে হলোও তাই। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল প্রিমিয়ার লিগের দলটি।মঙ্গলবারের ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিবৃতিতে ইউনাইটেড লিখেছে, দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সপ্তাহখানেক ধরে ক্লাব ও খেলোয়াড়ের মধ্যে যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে এমন কিছুর সম্ভাবনা ছিলই।
ইউভেন্তুসে তিন মৌসুমের পাট চুকিয়ে গত বছর অগাস্টে একরকম নাটকীয় দলবদলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফেরেন রোনালদো। ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন তিনি, কিন্তু ঘরের ছেলের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের যাওয়া মেনে নিতে পারেনি ইউনাইটেড। শেষ মুহূর্তে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সিদ্ধান্তে মত বদলে পুরনো ঠিকানায় ফেরেন পর্তুগাল অধিনায়ক।
ইউনাইটেডে দ্বিতীয় মেয়াদের অভিষেক মৌসুমটা দলগতভাবে ভালো না কাটলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন রোনালদো। ছিলেন মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়।
সবকিছু তড়িৎ বদল যেতে শুরু করে চলতি মৌসুমের শুরুতেই। দুই ম্যাচ পরই টেন হাগের পছন্দের ‘দ্বিতীয় তালিকায়’ পড়ে যান ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো।
শুরুর একাদশে জায়গা হারানোর পাশাপাশি এমন অনেক ম্যাচ গেছে, বদলি নামারও সুযোগও পাননি তিনি। এন ফলে মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে তাকে।
এজন্য পেতে হয় নিষেধাজ্ঞার শাস্তি, গুনতে হয় জরিমানাও।এরপরই গত সপ্তাহে ব্রডকাস্টার পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া দেড় ঘণ্টার সাক্ষাৎকারে মনে পুষে থাকা সব ক্ষোভ ঝাড়েন রোনালদো।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ নাকি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। টেন হাগের সঙ্গে তার সম্পর্কে বিষয়ে রোনালদো বলেন, এই ডাচ কোচ তাকে শ্রদ্ধা করেন না বিধায় তিনিও কোচকে সম্মান করেন না।
আর ক্লাবটির মালিক গ্লেজার পরিবারকে নিয়ে রোনালদো বলেন, তারা ক্লাবের উন্নতি ও খেলার মান নিয়ে একদমই ভাবে না।