রোনাল্ডোর বিদায়ের পরেই জানা গিয়েছিল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিক্রি হয়ে যাবে। পরের দিনই শোনা যায়, ঐতিহ্যবাহী ওই ইংলিশ ক্লাব কিনতে আগ্রহী অ্যাপল। ইতিমধ্যেই এই ক্লাব কেনার জন্য আলোচনা শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি।
২০০৫ সাল থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিকানা রয়েছে গ্লেজার পরিবারের হাতে।
কিন্তু সাম্প্রতি ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে তারা। ফলে প্রচুর দেনায় ডুবে রয়েছে রেড ডেভিলসরা। সেখান থেকেই ক্লাব বিক্রির প্রসঙ্গ শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য আটশো কোটি পাউন্ড হেঁকেছিল গ্লেজাররা। পরে অবশ্য বুঝেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির তুলনায় অনেক বেশি অঙ্ক চেয়েছেন তারা। সবচেয়ে ধনী ক্লাবের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের মূল্য চারশো কোটি পাউন্ডের কিছু বেশি। তারপরেই রয়েছে বার্সেলোনা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রেড ডেভিলসরা। ফলে গ্লেজার্সদের দর বেশ অস্বাভাবিকও ঠেকেছে। পরে জানানো হয়, সর্বোচ্চ দরপত্র যারা দেবে, তাদের হাতেই ম্যান ইউকে তুলে দেওয়া হবে।
অ্যাপলের তরফে প্রায় ছ’শো কোটি টাকার দরপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যদি এই মূল্যেই ক্লাবের হস্তান্তর সম্পন্ন হয়, তাহলে বিশ্বের ধনীতম ক্লাব হয়ে উঠবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সংস্থার সিইও টিম কুক বিশ্বের নানা প্রান্তে অ্যাপলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চান। ম্যান ইউয়ের মালিকানা পেলে সেই কাজ বেশ সহজ হবে বলেই মনে করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকবছর ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। বলা ভাল, নিজের নামের প্রতি একেবারেই সুবিচার করতে পারেনি ঐতিহ্যশালী ক্লাবটি। সমর্থকদের সমালোচনা ক্রমাগত ধেয়ে আসছিল। সাফল্য ছিল না। ট্রফি নেই ম্যান ইউতে। উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। আকণ্ঠ দেনায় ডুবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। মার্চ পর্যন্ত ক্লাবের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে নেই মালিকপক্ষের।