মার্কিন মহাকাশ সংস্থার কর্মকর্তরা বলেছেন, নাসার ওরিয়ন মহাকাশযান শুক্রবার চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। মিশনটির যাত্রা অনেক বিলম্বিত হলেও অভিযানটি সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
মহাকাশ সংস্থার ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডা থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা হওয়া মহাকাশযানটি এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পর ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা ‘অরিয়নকে একটি দূরবর্তী পশ্চাদমুখী কক্ষপথে সন্নিবেশ করার জন্য সফলভাবে স্থাপন করেছে।’
মহাকাশযানটি আগামী বছরগুলোতে মহাকাশচারীদের চাঁদে নিয়ে যাবে। ১৯৭২ সালে শেষ অ্যাপোলো মিশনের পর থেকে এটিই প্রথম চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ করবে।
এটি ক্রুবিহীন প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইট যানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ কিনা সেটা যাচাই করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।
নাসা বলেছে,‘দূরবর্তী কক্ষপথে থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের ৪০ হাজার মাইল ওপর দিয়ে ওরিয়ন উড়ে যাবে।’
সংস্থাটি বলেছে, ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা চাঁদের কক্ষপথে থাকাকালীন মূল সিস্টেমগুলো পর্যবেক্ষণ করবে এবং গভীর মহাকাশের পরিবেশে চেকআউটগুলো সম্পাদন করবে।
নাসা জানায়, চাঁদের চারপাশে অর্ধেক প্রদক্ষিণ শেষ করতে ওরিয়নের প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তারপরে এটি পৃথিবীতে ফেরার জন্য কক্ষপথ থেকে প্রস্থান করবে।
শনিবার মহাকাশযানটি চাঁদের বাইরে ৪০ হাজার মাইল পর্যন্ত যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি হবে নভোচারীদের বাসযোগ্য একটি ক্যাপসুলের সর্বোচ্চ রেকর্ড। বর্তমান রেকর্ড অনুযায়ী ১৯৭০ সালের ১১ এপ্রিল চাঁদে পাঠানো অ্যাপেলো-১৩ মহাকাশযান পৃথিবী থেকে ২,৪৮,৬৫৫ মাইল (৪০০,১৭১ কিমি) দূরে অবস্থান করছিল।
পরে ওরিয়ন পৃথিবীতে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে। মাত্র ২৫ দিনের বেশি ফ্লাইটের পরে ১১ ডিসেম্বরে এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করার সময় নির্ধারিত রয়েছে।
এই মিশনের সাফল্য আর্টেমিস-২ মিশনের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। যেটি অবতরণ ছাড়াই চাঁদের চারপাশে মহাকাশচারীদের নিয়ে যাবে। তারপর আর্টেমিস-৩, যা অবশেষে চন্দ্র পৃষ্ঠে মানুষের প্রত্যাবর্তনকে নিশ্চিত করবে।
এই মিশনগুলো যথাক্রমে ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।