অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ব্যাংকার্সের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, ভোক্তা ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার মৌখিকভাবে ১২ শতাংশ পর্যন্ত উন্নিত করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে আমরা তা বাস্তবায়নও করেছি।
এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, মাসখানেক আগে আমানতকারীরা টাকা উঠিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বাসের সেই সংকট কেটে গেছে। আমানতকারীরা পুনরায় টাকা ফেরত দিচ্ছেন, ব্যাংকে রাখছেন। এছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই কমে এসেছে। আশাকরি সহসাই ডলারসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাবে।
তবে সভা শেষে ঋণের সুদ হার নিয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও নবনিযুক্ত মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানোর কোনো মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদের বিষয়টি সার্কুলার জারি করে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আবারো প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
ইসলামী ব্যাংকের অনিয়মের বিষয়ে মেজবাউল হক জানান, এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যাংক। এখানে গ্রাহকদের আমানতের পূর্ণ নিশ্চয়তা রয়েছে। সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগ। পরিদর্শন শেষ হলে এ বিষয়ে জানানো হবে।