ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও অবক্ষয় রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২১ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে নেয়া সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাটি: খাদ্যের সূচনা যেখানে’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই মাটি ব্যবস্থাপনার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যায়ে মৃত্তিকা পরীক্ষা এবং রাসায়নিক সারের সুষম ব্যবহারের পাশাপাশি জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ ও স্থায়ী গবেষণাগার স্থাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় এবং তার প্রদর্শিত পথেই বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলছে। এর সুফল হিসেবে বাংলাদেশ কৃষির বিভিন্ন খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা লবণাক্ততায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। মাটির লবণাক্ততা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের কৃষি বিজ্ঞানীদের নিকট উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট- এর বিজ্ঞানীরা মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা কৌশল নিয়ে ক্রমাগত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি উন্নয়নে সব সময় আন্তরিক। সফল উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি মূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।