টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় তার পাঁচগুণের। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি রয়েছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন সূচক নিম্নমুখী রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকার থেকে দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি লেনদেনে রয়েছে ধীরগতি।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ১০ মিনিটও স্থায়ী হয়নি। বরং লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়েছে দরপতনের তালিকা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪৪ মিনিটে ডিএসইতে মাত্র ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৬টির। আর ৮৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৭৭ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে পাঁচটির, কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।