আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা করছে চিলি। চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিয়া উরেজোলা সেই পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেন। তবে কবে খোলা হবে দূতাবাস সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
বোরিক একজন বামপন্থী রাজনীতিবিদ এবং সাবেক ছাত্র কর্মী যিনি গত মার্চ মাসে দেশের কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি ঝুঁকি নিচ্ছি। আমরা ফিলিস্তিনে চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স থেকে আমাদের সরকারি প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চাই। এখন আমরা একটি দূতাবাস খুলতে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার, ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীরা এই পদক্ষেপের ভূয়শী প্রশংসা করেছে।
চিলিতে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের ৩ লাখের বেশি লোক রয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পশ্চিম তীরের বেথলেহেম এলাকার পরিবার থেকে যাওয়া। ১৯৯৮ সালে, চিলি পশ্চিম তীরের রামাল্লায় একটি প্রতিনিধি অফিস চালু করে। ২০১১ সালে, দেশটি ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং ইউনেস্কোতে দেশটির প্রবেশকে সমর্থনও করে।
বুধবার, বোরিক আরও বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রস্তাবিত দূতাবাসও ফিলিস্তিনিদের কল্যাণে কাজ করবে যেটি তাদের প্রাপ্য। তবে দূতাবাসটি ঠিক কোথায় হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
১৯৬৭ সালের ছয়-দিনের যুদ্ধ শেষে, ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর দখল করে নেয়, যা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজের দাবি করে আসছে।
এদিকে, চিলিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, চিলি সরকারের ঘোষণার বিষয়ে প্রকাশ্য কোনো বিবৃতি দিতে নারাজ তারা।
সূত্র: আল-জাজিরা