বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের কথা কী মনে আছে সবার? অবশ্য সে ম্যাচটি ভুলে যাওয়ার কথা না ফুটবলপ্রেমীদের। কেননা ম্যাচটিতে যে হলুদ কার্ডের বন্যা বসিয়েছিলেন স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তোনিও মাতেও লাহোজ। ১৮টি হলুদ কার্ডের সঙ্গে ছিল একটি লাল কার্ডও।
এবার লা লিগায় বার্সেলোনা ও এস্পানিওলের ম্যাচে সেই একই কাণ্ডের জন্মদিলেন মাতেও লাহোজ। এদিন দেখালেন ১২ হলুদ কার্ড ও ২টি লাল কার্ড। যদিও লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন মোট তিনটি। এর মধ্যে একটি ভিএআরের কারণে বাতিল করা হয়।
কার্ড বন্যার ম্যাচে এস্পানিওলের বিপক্ষে জয় নিয়ে আর মাঠ ছাড়তে পারেনি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। শেষ মুহূর্তে বিতর্কিত পেনাল্টিতে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায় এস্পানিওল।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই আন্দ্রেস ক্রিস্টেনশনের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন মার্কোস আলোনসো। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। ৭২ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি ঠিকঠাক মতোই চলছিল। কিন্তু ৭৩তম মিনিটে এক পেনাল্টিকে কেন্দ্র করে পাল্টে যায় সব। দুই দলের বেঞ্চের খেলোয়াড়দেরও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। বাদ যাননি বার্সেলোনা কোচও!
অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই একটা বিতর্ক বেঁধে যায় এস্পানিওলের সঙ্গে বার্সেলোনার। কারণ বার্সার মূল একাদশে যে ছিলেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। বিশ্বকাপের আগে সবশেষ ম্যাচে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন লেভা। এরপর তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু এস্পানিওল ম্যাচের আগ মুহূর্তে তার নিষেধাজ্ঞার শাস্তি তুলে নেয়া হয়।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে লাহোজ লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন লা লিগায় নিজের তিনশতম ম্যাচ খেলা জর্দি আলবাকে এবং ৮০ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিয়ুস সৌজা। ৮৩ মিনিটে এস্পানিওলের লিয়ান্দ্রো ক্যাবরেরাকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। তবে ভিএআরের কল্যাণে বেঁচে যান তিনি।
ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করলেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বার্সেলোনা। তবে ২টি পয়েন্ট হারাতে হলো তাদের। এখন রিয়ালের সমান পয়েন্ট বার্সার। ১৫ ম্যাচ শেষে দুই দলের পয়েন্টই ৩৮ করে। যদিও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষেই থাকলো বার্সা।