বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরুর ৪ ঘণ্টার মধ্যে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী এবং বিএনপির প্রার্থী। রবিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া এবং বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকায় একতরফা সিল দেওয়ার অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এই দুই প্রার্থী। তারা হলেন বিএনপির রিয়াজ আহমেদ মৃধা এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টু। যদিও নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে দাবি আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীলের।
বিএনপির প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল ৭টা ৪৮ মিনিটে আমার পোলিং এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় সরকারি দলের লোকজন। কেন্দ্রে ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সরকারি দলের লোকজন নৌকায় একতরফা সিল দিচ্ছে। এই নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন না হওয়ায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টু বলেন, ‘ভোটে কারচুপি হচ্ছে। তার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসনও এ ব্যাপারে নির্বিকার। প্রকাশ্য কারচুপির কারণে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।’
যদিও আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীলের দাবি, ভোট হচ্ছে সুষ্ঠু-সুন্দরভাবেই। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। জনসমর্থন না থাকায় দুই প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করতে পারেন।’
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়ে ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বিতীয় শ্রেণির বানারীপাড়া পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৮জন এবং ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। মোট ৯ হাজার ১২৭জন ভোটারের মধ্যে ৪ হাজার ৪৬২জন পুরুষ এবং নারী ভোটার ৪ হাজার ৪৬৫ জন। পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ৩২টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।
অপরদিকে এদিকে প্রথম শ্রেণির মুলাদী পৌরসভায় এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের শফিকুজ্জামান রুবেল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দিদারুল আহসান খান, বিএনপির আল-মামুন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম। এখানে ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪জন এবং ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।
এই পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে। এখানে ৮ হাজার ৭৪১জন পুরুষ এবং ৮ হাজার ৭৩৫জন নারী ভোটারসহ মোট ভোটার ১৭ হাজার ৪৭৬ জন।