নিজেদের সমুদ্রসীমায় চীনা কোস্টগার্ড বাহিনীর অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইন্দোনেশিয়া। দ্বীপরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্রধান লক্ষণা মুহম্মদ আলী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনীর শিপ ট্র্যাকিং বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির উত্তর নতুন সাগরের টুনা ব্লক এলাকায় চীনের একটি যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করেছে। সেটির নাম্বার সিসিজি ৫৯০১। জাহাজটিকে নিজেদের সমুদ্রসীমা থেকে বের করে দিতে শনিবার নিজেদের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ, সমুদ্রে ওপর ওড়ার উপযোগী একটি উড়োজাহাজ ও একটি ড্রোন টুনা ব্লকের উদ্দেশে পঠিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
‘চীনা সেই যুদ্ধজাহাজটির বিরুদ্ধে এখনো সন্দেহজনক কোনো তৎপরতার অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে আমরা আরও কিছুদিন উত্তর নতুন সাগরে আমাদের টহল অব্যাহত রাখব,’ রয়টার্সকে বলেন মুহম্মদ আলী।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথ হলো দক্ষিণ চীন সাগর। চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া এই সাগরের উপকূলবর্তী কয়েকটি দেশ।
দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তরাংশটি পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায়। উত্তর নতুন সাগর নামে পরিচিত এই সাগরটি ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রসীমার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের অন্তর্ভুক্ত।
এই সাগরে টুনা ব্লক নামে একটি এলাকা আছে। সেই এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
এদিকে চীনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের সমুদ্রসীমা সম্প্রসারণ ও অন্যান্য দেশের সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠছে গত কয়েক বছর ধরেই। চীন অবশ্য বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রসীমা সুরক্ষা সম্পর্কিত সরকারি সংস্থা ইন্দোনেশিয়ান ওশন জাস্টিস ইনিশিয়েটিভসের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তর নতুন সাগরেও চীনা কোস্টাগার্ড বাহিনীর অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার উত্তর নতুন সাগরের টুনা ব্লকে প্রবেশ করেছে কোস্টগার্ডের জাহাজ।