একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন শেষে আজ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ভর্তির কার্যক্রম। এ কার্যক্রম ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে একাদশ শ্রেণিতে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হচ্ছে অনলাইন ক্লাস। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস। এ লক্ষ্যে ১ অক্টোবর বাজারে এ ক্লাসের পাঠ্যবই বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হতে পারে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে শুধু অনলাইনে এই ক্লাস চলবে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সরাসরি ক্লাস নেয়া যাবে।’
এবারো মোট তিন ধাপে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করে। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পাঠ্য বইয়ের সংখ্যা ৩৯টি। এগুলোর মধ্যে- বাংলা, ইংরেজি এবং বাংলা সহপাঠ বই সরকারিভাবে প্রকাশিত হয়।
এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের বইটিও বেসরকারি প্রকাশকদের পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বইও বাজারে থাকছে। এই বইটি নিয়ে মামলা হয়েছিল। ফলে বেসরকারি প্রকাশকদের প্রকাশিত বাকি ৩৫টি বই বাজারে থাকছে। ১ অক্টোবরই বাজারে বই বিক্রির ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এতে বলা হয়, পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ও ভর্তিফিসহ সাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে।
উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না কোনো কলেজ। গত বছর এ খাতে ৩ হাজার টাকা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই ফি কমিয়েছে বোর্ড। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ফি ৪০ শতাংশ কমিয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে যথাক্রমে ১৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা আদায় করা যাবে। সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে হবে।
এর আগে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ৯ আগস্ট সকাল ৭টায় অনলাইনে শুরু হয় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন। চলে ২০ আগস্ট পর্যন্ত।