লিওনেল মেসি ও নেইমার দলে থাকার পরও পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচতে পারল না পিএসজি। মার্সেইর কাছে হেরে কুপ দ্য ফ্রান্সের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় ফরাসি ক্লাবটি। পিএসজির পরাজয়ের দিনে আইকনিক ‘১০ নম্বর’ জার্সিতে দেখা যায় ক্লাবটির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসিকে।
ম্যাচের ৩১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে মার্সেইকে এগিয়ে দেন মেসির সাবেক সতীর্থ সানচেজ। তবে প্রথমার্ধ শেষের আগেই সমতায় ফেরে পিএসজি। রামোসের গোলে ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। হাফের টাইমের ঠিক আগ মুহূর্তে কর্ণার পায় পিএসজি। সেখান থেকে হেড করে দলকে সমতায় ফেরান রামোস।
প্রথম হাফে মার্সেইর কাছে পাত্তা না পেলেও দ্বিতীয় হাফে লড়াইয়ে ফেরে লা পারিসিয়ানরা। মার্সেইর মতো সমানে সমান আক্রমণ করতে থাকে পিএসজির খেলোয়াড়রা। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা।
উল্টো ম্যাচের ৫৭ মিনিটে পিছিয়ে যায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। রোসলান মিলানোভস্কির ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট আটকাতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুম্মা। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে উঠেপড়ে লাগে পিএসজি। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি তারা। ফলে এবারের কুপ দ্য ফ্রান্সের শেষ ১৬ থেকেই বিদায় নিতে হল পিএসজিকে।
ম্যাচ হারলেও এদিন আলাদা নজর কাড়েন মেসি। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় ১০ নম্বর জার্সি গায়ে দেয়া মেসিকে এদিন আবারও দেখা যায় আইকনিক ১০ নম্বর জার্সিতে। মূলত, ফ্রেঞ্চ কাপের নিয়মের কারণেই ১০ নম্বর জার্সি পড়ার সুযোগ পান বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
ফ্রেঞ্চ কাপের নিয়ম অনুযায়ী, একাদশে থাকা ফুটবলারদের জার্সি নম্বর হতে হবে ১-১১ এর মধ্যে। আর সেজন্য ৩০ এর পরিবর্তে ১০ নম্বর জার্সি পরেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এদিকে, পিএসজির জার্সিতে নিয়মিত ১০ নম্বর জার্সি পড়া নেইমার এদিন মাঠে নামেন ১১ নম্বর জার্সিতে।