ইউরোপিয় ফুটবলের পাট চুকিয়ে এশিয়ান ফুটবল মাতাতে জানুয়ারির প্রারম্ভে সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দেয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দেশটিতে তার অভিষেক হয় লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পেদের বিপক্ষে রিয়াদ একাদশের হয়ে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। ওই ম্যাচটিতে জোড়া গোল করেন রোনালদো। যদিও তার দল সেদিন জিততে পারেনি।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবলে আল নাসরের হয়ে অভিষেকটা ভালো হয়নি রোনালদোর। সৌদি প্রো লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে গোল পাননি। এরপর গোল করতে ব্যর্থ হন সুপার কাপের সেমিফাইনালেও। সেই ম্যাচে আল-ইত্তিহাদের কাছে তার দলও যায় হেরে।
এতে প্রশ্ন উঠে রোনালদোর পারফরম্যান্স নিয়ে। অনেকে তো এমনও বলছিলেন-সৌদি আরবের ফুটবলও এখন রোনালদোর জন্য কঠিন! কিন্তু সেই সমালোচনা কিছুটা হলেও রোনালদো চাপ দিতে পারেন আল-নাসরের হয়ে পরের ম্যাচটি খেলতে নেমে।
প্রো লিগে ৩ ফেব্রুয়ারির সেই ম্যাচে তার শেষ মুহূর্তের পেনাল্টি গোলেই আল-ফাতেহর সঙ্গে ২-২-এ ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল আল-নাসর। আর বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তো রোনালদো তার আসল রূপে আবির্ভূত হলেন। একটি নয়, দুটি নয়-এবার ৪ গোল করলেন সিআর সেভেন। তার চার গোলে মক্কায় আল-ওয়েহদার মাঠ থেকে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে আল-নাসর।
রোনালদোর প্রথম গোলটি করেন ম্যাচের ২১তম মিনিটে। দ্বিতীয় গোলটি পান ৪০ মিনিটে। বিরতি থেকে ফেরার পর ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে করেন নিজের তৃতীয় গোল। চতুর্থ ও শেষ গোলটি আসে ৬১ মিনিটে
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে আছে রোনালদোর দল। এক ম্যাচে বেশি খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আল-শাবাবের পয়েন্টও ৩৭।
এই ম্যাচের ৪ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে চলে এসেছেন রোনালদো। এই নিয়ে তার গোলসংখ্যা পাঁচটি। ১৩ গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন তারই সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান তালিসকা। আরেক ব্রাজিলিয়ান আল-শাবাবের কার্লোস ১০ গোল নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে।