পিএসজিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে রইল বায়ার্ন মিউনিখ। শেষ ষোলর প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। বাভারিয়ানদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোম্যান।
দীর্ঘ বিরতির পর ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ফিরেছে ক্লাবগুলো। ঘরের মাঠে পুরনো হিসাব-নিকাশের অপেক্ষায় থাকা পিএসজি আরও একবার পিছিয়েই রইল। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ।
তুরস্ক আর সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে ম্যাচের আগে নিস্তব্ধতা নেমে আসে পার্ক দে প্রাসে।
পিএসজির জন্য ম্যাচটা প্রতিশোধের হলেও চেনা আঙিনায় বড্ড অচেনা ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। শঙ্কা কাটিয়ে শুরুর একাদশে ফিরেছিলেন লিওনেল মেসি। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক জাইর এমেরির। প্রথমার্ধে অন টার্গেটে শট মাত্র ১টি।
কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী এমবাপ্পের অভাবটা ভালোই টের পেয়েছিল তারা। কোনো অন টার্গেট শটই নিতে পারেনি ক্লাবটি। বিপরীতে চুপি-মোটিং, জশুয়া কিমিখরা পিএসজি রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিয়েছে বারবার। যদিও সাফল্য আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন বছর আগের পুনরাবৃত্তি কিংসলে কোম্যানের। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে ছিল না উদযাপন। পিছিয়ে পড়ে কার্লোস সোলেরের পরিবর্তে একাদশে কিলিয়ান এমবাপ্পে। বদলি হিসেবে নেমে দুই বার বল জালে জড়ান ফরাসি স্পিডস্টার। তবে প্রতিবারই কপাল পুড়ে অফসাইডে।
ইনজুরি সময়ে মেসিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে দ্বিতীয় লেগ খেলা হবে না বাভারিয়ান ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার।
সব প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচ হার পিএসজির। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আসরে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখল বায়ার্ন মিউনিখ।
অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা না থাকায় দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের মাঠে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিতলেই সরাসরি শেষ আটে যাবে পিএসজি।