ঈদ উপলক্ষে রেলের আগাম টিকেট বিক্রির তৃতীয় দিন রোববার (৯ এপ্রিল) উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আরও কয়েকটি রুটের টিকিটও দ্রুত শেষ হয়ে গিয়েছে।
বিশেষ করে ময়মনসিংহ ও জামালপুর রুটে চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের চাহিদাও ছিল বেশ।
রাজশাহীগামী সিল্কসিটি, পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিট সকাল ৯টার দিকেই শেষ হয়।
উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা।
ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা রুটের মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
চট্টলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের পাঁচ হাজার টিকিটের অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে।
তবে সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকেট এখনও পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বরাবরের মতো আজও চাপ নেই। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিট খালি ছিল প্রায় ৪০০।
ফেসবুকে বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন নামে দেড় লাখ ব্যবহারকারীর গ্রুপে এদিনও যাত্রীরা নানা ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেছেন।
আলি শাহেদ খান নামে এক যাত্রী জানান, অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে সব ঠিকঠাক কাজ শেষে বিকাশ পেমেন্ট করতে গিয়ে পিন নম্বর দিয়ে ক্লিক করার পর অনেক্ষণ ধরে লোডিং হচ্ছিল। পরে দেখা যায় টাকাও কেটে নিয়েছে, টিকিটও দেয়নি।
হাসান পারভেজ নামে আরেক যাত্রী বলেন, আজ সকালে ১৯ তারিখের একটি টিকিট কাটি, বিকাশ থেকে পেমেন্ট করি। কিন্তু টিকিট কনফার্ম হয়নি। আগেই টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এর সমাধান কী?
ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ৭ এপ্রিল শুরু হয় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। সেদিন পাওয়া যায় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। আজ পাওয়া যায় ১৯ এপ্রিলের টিকিট। ২০ এপ্রিলের টিকিট ১০ এপ্রিল এবং ২১ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ১১ এপ্রিল।