ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয়ার পরের ম্যাচেই ঘরের মাঠে বিধ্বস্ত কোপা দেল রে ফাইনালিস্ট রিয়াল মাদ্রিদ। এতে করে লা লিগার শিরোপা অনেকটা বার্সেলোনার হাতেই তুলে দিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। যদিও এই ম্যাচে জিতলেও তেমন একটা পরিবর্তন হতো না বার্সার শিরোপা জয়ের পথ।
এই হারে লিগ শিরোপা দৌড়ে প্রায় ছিটকেও গেল রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ পয়েন্টে। ২৭ ম্যাচ খেলে বার্সার পয়েন্ট ৭১, এক ম্যাচ বেশি খেলা রিয়ালের ৫৯।
শনিবার (৮ এপ্রিল) লা লিগার খেলায় সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৩-২ গোলে পরাজিত হয় স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদ। ভিয়ারিয়ালের পক্ষে স্যামুয়েল চুকুওয়ে দুইটি ও হোসে লুইস মোয়ারেস একটি গোল করেন। রিয়ালের পক্ষে ভিনিসিয়ুস একটি গোল করেন। বাকি গোলটি আত্মঘাতী।
ঘরের মাঠে দুবার এগিয়ে গিয়েও হারতে হলো গ্যালাক্টিকোদের। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই পাউ তরেসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় লসব্লাঙ্কোসরা। ভিনিসিয়ুসের কাটব্যাকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন মার্কো অ্যাসেন্সিও। তরেসের পায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। ঠেকানোর সুযোগই পাননি ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক পেপে রেইনা।
দুই মিনিট পর অর্থাৎ ১৮তম মিনিটে গোল শোধ করার সুযোগ পান ভিয়ারিয়ালের অ্যালেক্স বায়েনা। বল কোর্তোয়ার হাত বরাবর মারেন। পরের মিনিটে বেনজেমা ও রদ্রিগোকে গোলবঞ্চিত করেন রেইনা।
২৬ ও ৩০ মিনিটে চুকোয়েজি ও বায়েনার দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ৩৪ মিনিটে অল্পের জন্য ফের গোলবঞ্চিত হন জিওভান্নি লো সেলসো। তবে এর পাঁচ মিনিট পরেই সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল। রিয়াল ডিফেন্ডারদের ঢিমেতালে রক্ষণের সুবাদে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ভালো শটের সুযোগ পেয়ে যায় স্যামুয়েল চুকুওয়ে। তার নেয়া শট থিবো কোর্তোয়াকে এড়িয়ে বল চলে যায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের এগিয়ে যায় রিয়াল। ডিবক্সের কাছে দানি সেবায়োসের পাস পেয়ে ভিয়ারিয়ালের চার খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে গোল করেন ভিনিসিয়ুস।
৫৩ মিনিটে বেনজেমার পাস থেকে বলও পেয়ে বাইরে মারেন ভিনি। এর পাঁচ মিনিট পরই রিয়ালের জালে বল পাঠান আইসা মেন্দি। তবে অফসাইডে বাতিল হয় সেই গোল। ম্যাচের ৬০ মিনিটের সময় করিম বেনজেমাকে তুলে ফেলেন আনচেলত্তি। এতে করে আক্রমণের ধার কমে যায় রিয়ালের। ৬৩ মিনিটে ভালভার্দের পাস থেকে বল পেয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার হুয়ান ফয়েথের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়ুস।
৭০ মিনিটে সমতায় ফেরে ইয়োলো সাবমেরিনরা। চুকুওয়ের ক্রস মানু ত্রিগেরোসের পায়ে লাগলে পেয়ে যান মোরায়েস। দ্বিতীয় চেষ্টায় তিনি ফাঁকি দেন কোর্তোয়াকে। শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও পরে ভিএআর দেখে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
৮০ মিনিটে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শকদের হতবাক করে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও দলের জয়সূচক গোলটি করেন চুকুওয়ে। ডিবক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া বাঁকানো শট লাফিয়ে পড়েও নাগাল পাননি কোর্তোয়া।
৮২ মিনিটে রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরে দেখে পরে পেনাল্টি তুলে নেন। এরপর বাকি সময় প্রবল চাপ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। ফলে মৌসুমে পঞ্চমবারের মতো হারের মুখ দেখে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।