বাঁ পায়ের সেই পরিচিত শটে দলকে এগিয়ে নিল আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। কিন্তু এরপরই পিএসজিকে চেপে ধরল নিস। তবে একের পর এক সুযোগ পেয়েও পোস্টের বাঁধায় এবং জানলুইজি দোন্নারুম্মার দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পায় নিস। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে আরেক গোল হজম করল নিস।
দলটির এই হারে ফরাসি লিগ ওয়ানে টানা দুই হারের পর জয়ে ফিরল প্যারিস জায়ান্টরা। দ্বিতীয় গোলটি করেন রামোস।
এর আগে লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরেছিল পিএসজি। এই জয়ে লিগ শিরোপা দৌড়েও ভালোমতো টিকে থাকল মেসির দল। ৩০ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট ৬৯, দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাস ৬ পয়েন্ট পেছনে।
সর্বশেষ দুই ম্যাচে রেন ও লিওর কাছে হেরে লিগ আঁ নিয়েই দুশ্চিন্তা ভর করেছিল পিএসজিতে। চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ফরাসি কাপ থেকে বিদায় হয়ে গেছে আগেই। এবার না পা হড়কায় লিগেও। যে কারণে আজকের ম্যাচে পিএসজির জয় দরকার ছিল খুব করে।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজিই। ২২ মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারতেন দানিলো পেরেইরা। খুব কাছ থেকে নেওয়া পর্তুগিজ ডিফেন্ডারের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
চার মিনিট পরই অবশ্য গোল পেয়ে যায় পিএসজি। বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেসের ক্রস প্রথম প্রচেষ্টাতেই পাঁ ছুইয়ে বলের দিক পাল্টে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠান মেসি। লিগ আঁ-তে এটি তাঁর ১৪তম গোল।
গোল হজমের পর আক্রমণে ধার বাড়ায় নিস। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুটি ভালো সুযোগও তৈরি করে। প্রথমটি ছিল কিফহেন থুরামের ক্রসে তেরেম মোফির শট, পরেরটি মোফির হেড। দুটিই ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন পিএসজি গোলরক্ষক দন্নারুম্মা।
দ্বিতীয়ার্ধেও নিসের একাধিক আক্রমণে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে হয় দন্নারুম্মাকে। মার্কিনিওস আর রামোসের দৃঢ়তায়ও প্রতিহত হয় কিছু আক্রমণ। এর মধ্যে ৫২ মিনিটে দান্তের ভলি অবশ্য কারওই আটকানোর উপায় ছিল না। তবে ক্রসবারের ভেতরে লেগে নিচে পড়লেও অল্পের জন্য বল গোল লাইন পার হয়নি।
শেষ দিকে গোলের সুযোগ পান এমবাপ্পেও। ৯২ মিনিটে নিস গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল আশরাফ হাকিমির শট রুখে দিলে পেয়ে যান মেসি। নিজে শট না নিয়ে তিনি এমবাপ্পের দিকে বাড়ান। কিন্তু ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সহজ সুযোগ হারান এমবাপ্পে।
তাতে অবশ্য পিএসজির ক্ষতি কিছু হয়নি। মাঠ ছেড়েছে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই। পরের ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাসের বিপক্ষে খেলবে পিএসজি।